• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

যুদ্ধ শেষ না হলে জিম্মি মুক্তি পাবে না: হামাস

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস শুক্রবার তাদের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের শাহাদাত বরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে একইসাথে তারা আগের অবস্থান দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা করে বলেছে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহার না হলে তারা তাদের হাতে থাকা ১০১ পণবন্দীর মুক্তি দেবে না। ফলে সিনওয়ার নিহত হওয়ার কারণে হামাস দুর্বল হয়ে পণবন্দীদের মুক্তি দিয়ে দেবে বলে ইসরাইল যে আশাবাদী হয়ে ওঠেছিল, তাকে পানি ঢেলে দেয়া হলো।

এদিকে ইসরাইলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিনওয়ারের ভাই এবং সম্ভাব্য উত্তরসূরী মোহাম্মদ সিনওয়ারও তার পূর্বসূরীর চেয়ে কম কঠোর নন। ফলে দ্রæত হামসের কোনো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আত্মপ্রকাশ না করলে গ্রুপটির কোনো অংশের সাথে ছোট আকারের পণবন্দী মুক্তি চুক্তি করা যেতে পারে।

শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় হামাসের কাতারভিত্তিক পলিটব্যুরোর উপ-নেতা খলিল আল-হায়া বলেন, ইসরাইলকে সিনওয়ারের মৃত্যুর জন্য অনুশোচনা করতে হবে। তিনি বলেন, তার ‘শাহাদাত’ তাদের দলকে আরো শক্তিশালীই করবে।

তিনি বলেন, ‘গাজায় আমাদের জনগণের ওপর আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত’ পণবন্দীরা ফিরবে না।

এদিকে হামাসের সশস্ত্র শাখা আলাদা বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ফিলিস্তিন মুক্ত না হওয়া’ পর্যন্ত তারা লড়াই অব্যাহত রাখবে। তারা তাদের নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে।

এছাড়া ইরান-সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হাউছিরাও সিনওয়ারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে লড়াই অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

অন্যদিকে সিনওয়ারের নিহত হওয়ার খবরকে স্বাগত জানিয়ে এক ভিডিও বিবৃতিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা ও লেবাননে চাপ অব্যাহত রাখার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, ‘সন্ত্রাসীরা’ তাদের অস্ত্র সংবরণ করলে এবং পণবন্দীদের মুক্তি দিলে তাদের রেহাই দেয়া হবে।

এক ইসরাইলি কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরাইলকে বলেছেন, ইসরাইল এখন পণবন্দী মুক্তি ও যুদ্ধবিরতি নিয়ে ‘সতর্কভাবে আশাবাদী।’ তিনি বলেন, ইয়াহিয়ার ভাই ও সম্ভাব্য উত্তরসূরী মোহাম্মদ সিনওয়ার ‘তার ভাইয়ের চেয়ে কম চরমপন্থী নন।’ আর হামাস এখনো ‘খুনি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে বহাল থাকবে। গত বুধবার ঘটনাক্রমে ইসরাইলি হামলায় ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হন।

সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ