বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের রূপকার খুনি হাসিনাকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। আমরা খবর পেয়েছি, কুমিল্লার পার্শ্ববর্তী সীমান্ত ত্রিপুরায় ফ্যাসিবাদের দোসররা জমায়েত হওয়ার অপচেষ্টা করছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে কুমিল্লার টাউনহল ময়দানে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লার ব্যানারে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা কুমিল্লা থেকে স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা দিতে চাই, ফ্যাসিবাদের দালাল যারা রয়েছে; ছাত্রলীগ, যুবলীগ, টোকাই লীগ—বাংলাদেশের কোথাও পুনর্বাসনের অপচেষ্টাকে সফল হতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে কুমিল্লা থেকেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের নামে মামলা দিন। তাদের ঘর থেকে ধরে এনে পুলিশে সোপর্দ করুন। আওয়ামী লীগ যেভাবে মানবাধিকার হরণ করেছে, তাদের আর পুনর্বাসন করার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার নেই। সন্ত্রাসী হিসেবে আইন করে তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আপনারা যারা ছাত্রদল, শিবির, ডান বা বামদল আছেন; আমাদের সবার পরিচয় আমরা মজলুম। ফ্যাসিবাদ যাতে মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে, সেজন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করুন।
তিনি বলেন, শেখ মুজিবকে জাতির পিতা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তান থেকে এসে তিনি জাতির পিতা হয়ে গেছেন। ঘোষক শহীদ জিয়াকে রাজাকার পর্যন্ত বানানো হয়েছে এই আওয়ামী লীগের আমলে। মুক্তিযুদ্ধে সৈয়দ নজরুল, তাজউদ্দীন আহমদসহ যারা ভূমিকা রেখেছেন, তাদের সবার ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে দিতে হবে।
হাসনাত আরও বলেন, আপনারা জানেন, বিগত সময় কুমিল্লার মানুষ খুনি বাহারের ত্রাসের রাজত্বে ছিল। ব্যবসায়ী, হাসপাতাল ও রাস্তার ফুড কোর্টগুলোকেও চাঁদা দিতে হয়েছে। বাহার গং কুমিল্লার মধ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। আমরা কুমিল্লাবাসী বাহারসহ ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থাকেই বিলুপ্ত করে দয়েছি।
সমাবেশ আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সাকিব হোসেনসহ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা।