বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে রংপুরে আসতে না দেওয়ার অবস্থান থেকে সরে এলো জাতীয় পার্টি।
শুক্রবার রাতে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান।
তিনি বলেন, দুই সমন্বয়কের সঙ্গে আমার কোন ব্যক্তিগত রেষারেষি নেই। দলের বিপক্ষে তারা অবস্থান নেওয়ায় আমাদের দলের নেতাকর্মীদের সেন্টিমেন্টের কারণে ওই ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম রংপুরে আসার দিনে যেহেতু পুলিশ মহাপরিদর্শক আসছেন সে কারণে আপাত এই আলটিমেটাম থেকে আমরা সরে এসেছি। আইজিপির অনুষ্ঠান ঘিরে নগরীতে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় বা কোন বড় রকমের সংঘাত না হয় তাই আমরা সতর্কভাবে তাদেরও এই মুহূর্তে প্রতিহত করছি না। দলের চেয়ারম্যান এমনি নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে নানান সংকট তৈরি হয়েছে সেখানে কেউ আমাদের কোন কর্মসূচির আড়ালে অন্য কোন ফায়দা হাসিল করুক, সে সুযোগ দিতে চাই না।
কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক, আব্দুর রাজ্জাক কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর দলের এক কর্মী সমাবেশ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ককে রংপুরে আসতে না দেওয়ার হুমকি দেন রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক এই মেয়র। তিনি বলেন, সারজিস আলম আর হাসনাত আব্দুল্লাহ জাতীয় পার্টিকে নিয়ে যে ঘোষণা দিয়েছেন এরপর আর ওই দুই সমন্বয়ককে রংপুরে আসতে দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, তার পরেও যদি দুই সমন্বয়ক ফেসবুকে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে কোন ম্যাসেজ দেন তাহলে জাতীয় পার্টির সকল নেতা কর্মী সমর্থক যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে রংপুরে পার্টি আফিসে চলে আসবেন। তার এই ঘোষণা দেওয়ার সময় রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি অফিসে দলের কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংসদে সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা ও দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
প্রসঙ্গত, শনিবার বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম রংপুরে যাচ্ছেন। তিনি এদিন বাহিনীর বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।