আপাতত আওয়ামী লীগের কোনো ভবিষ্যৎ দেখছেন না সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। তবে অনুশোচনা, ক্ষমা প্রার্থনা ও বিচারের মুখোমুখি হলে আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে বলে মনে করেন তিনি।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন সোহেল তাজ।
সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ হয়তো এই সংকট থেকে বের হয়ে আসতে পারে। তবে তাদের কিছু শর্ত মানতে হবে। আওয়ামী লীগের যারা খুন গুমের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে আগে, তারপর আওয়ামী লীগকে ক্ষমা প্রার্থনা করে জনগণের সেবার রাজনীতিতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবেই আওয়ামী লীগ এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে। তাছাড়া, যারা আন্দোলন দমনে নেতৃত্ব দিয়েছে, যারা দলটাকে ধ্বংস করেছে, তাদের রেখেই সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।
আওয়ামী লীগ নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ৯০ ভাগ নেতাই দুর্নীতিতে জড়িত। তার মতে, ১৫ বছরের অপকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে ও বিচারের মুখোমুখি হয়ে ১৯৭১-এর চেতনায় ফিরে আসলেই আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করা যায়।
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এরপর থেকে আত্মগোপনে চলে যান দলটির অধিকাংশ নেতা। কেউ কেউ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। এমন অবস্থায় নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়া আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, ‘আত্মসমালোচনা করে ক্ষমা চাইলে আওয়ামী লীগে ফেরার বিষয়টি বিবেচনা করব।
গুম-খুন-লুটপাট ও অর্থপাচারে জড়িত আওয়ামী লীগের অংশ হতে চান না জানিয়ে সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘খুন-গুম-ভোট ডাকাতি-অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের অংশ হব না। তাদের কৃতকর্মের জন্য যদি তারা আত্মোপলব্ধি, অনুশোচনা, আত্মসমালোচনা করে ক্ষমা প্রার্থনা করে ঘুরে দাঁড়াতে চায় তবে আমি কনসিডার করব, তার আগে না। কেননা দুর্নীতিগ্রস্ত এই আওয়ামী লীগ আমার না, আমার আওয়ামী লীগ অনেক দূরে চলে গেছে।
গত তিন দফায় নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ যে প্রহসন করেছে সেজন্য দলটিকে আগামী তিনটি নির্বাচনের বাইরে রাখা উচিত বলেও মনে করেন সোহেল তাজ।