নোয়াখালীর হাতিয়ায় রাতের আঁধারে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় ৯৯৯-এ কল দিয়ে সহযোগিতা চাইলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সন্ত্রাসীদের হামলায় বাড়ির দুই গৃহবধূসহ তিনজন আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে প্রবাসীর পিতা বৃদ্ধ অলি উদ্দিন বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে হাতিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এর আগে, রোববার (২৭ অক্টোবর) রাতে হাতিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গুল্যাখালী গ্রামের এ ঘটনা।
থানার লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, রোববার রাতে হঠাৎ কিছু সন্ত্রাসী তাদের বাড়িতে আক্রমণ করে। বাড়ির প্রাচীরে হ্যামারের আঘাতের শব্দ শুনে বাড়ির নারীরা এগিয়ে এলে তাদেরকে আক্রমণ করে সন্ত্রাসীরা। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে সন্ত্রাসীরা প্রায় ৫০ ফুট সীমানা সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলে। এ সময় নারীদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তাদের ওপরও আক্রমণ করে সন্ত্রাসীরা। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিলে হাতিয়া থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রবাসী ছাইফুর রহমানের স্ত্রী সুবর্ণা, বোন আকলিমা ও ভাই ওহিদুর রহমান আহত হয়।
অলি উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন থেকে তার ছেলে প্রবাসী আবদুর রহমান, সাইফুর রহমান, আয়াতসহ তিন ভাই এই বাড়িতে বসবাস করে আসছে। তাদের সাথে প্রতিবেশী আছিয়ল হকদের বাড়ির অংশ নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ইতোমধ্যে এই বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। সম্প্রতি এই বিষয়ে হাতিয়া নৌবাহিনীর ক্যাম্পে অভিযোগ দিলে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। সবশেষ বৈঠকে মীমাংসা না হওয়ায় পুনরায় বৈঠকের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষ সেই বৈঠকের অপেক্ষা না করে হঠাৎ রাতের আঁধারে হামলা করে।
এই বিষয়ে হাতিয়া থানার উপপরিদর্শক মনির উদ্দিন জানান, রাতে ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের এক প্রবাসীর বাড়িতে যাই। সেখানে প্রাচীর ভাঙচুরের আলামত পাওয়া যায়। প্রতিপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে প্রাচীর ভাঙার যন্ত্রপাতী উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে।
এই ব্যাপারে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, এই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এস আই মনিরকে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।