• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১১ অপরাহ্ন

কাতার থেকে হামাসকে যে কারণে বের করে দিতে বললো যুক্তরাষ্ট্র

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪

কাতারে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের উপস্থিতি আর গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এক মার্কিন শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেছেন, কয়েক সপ্তাহ আগে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, জিম্মি মুক্তির প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। তাই গোষ্ঠীটির নেতারা কোনও মার্কিন মিত্রের রাজধানীতে আর আমন্ত্রিত নয়। কয়েক সপ্তাহ আগে হামাস আরও একটি বন্দি মুক্তির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পরই কাতারকে এটা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের সঙ্গে একজোট হয়ে গাজা যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টায় আছে উপসাগরীয় দেশ কাতার। তবে এখনও কোনও আশার আলো দেখা যায়নি। হামাস একটি স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার কারণে গত অক্টোবর মাসে সমঝোতার আরেকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, হামাস নেতাদের কাছে ১০ দিন আগেই বার্তা পাঠানো হয়েছে। দোহায় ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটির কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে কাতারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে হামাসের তিন নেতা দাবি করেছেন, কাতারের দিক থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এমন কোনও বার্তা আসেনি যে তারা আর দেশটিতে স্বাগত নয়।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

হামাস নেতাদের দোহা ছাড়ার জন্য কাতার নির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়েছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করার চূড়ান্ত চেষ্টা করছে। তবে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের পর বাইডেনের ক্ষমতার শেষ কয়েক সপ্তাহে প্রচেষ্টার প্রভাব অনেকটাই কমে যেতে পারে।

গাজায় ইসরায়েল সামরিক উপস্থিত ধরে রাখার গোঁ ধরায় আগের আলোচনাগুলো ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে, হামাস প্রথমে বাইডেনের প্রচেষ্টায় সাড়া দিলেও ইসরায়েলের দাবি শুনে তারাও বেঁকে বসে।

এর আগে, দোহায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাত দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল দুই পক্ষ। সে সময়ই তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে কিছু জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মানবিক সহায়তা কার্যক্রমও শুরু হয়েছিল। তবে দ্রুতই পরিস্থিতির আবার অবনতি ঘটে ও দুইপক্ষ আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ