অগ্নিকাণ্ডের ১১ দিন পর খুলে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবন। রবিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে ভবনটি খুলে দেওয়া হয়। ৯তলা ভবনটিতে পঞ্চম তলা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাচ্ছে। ভবনটির পুড়ে যাওয়া অংশ সংস্কার করতে ১০ থেকে ১২ দিন লাগবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ষষ্ঠ থেকে নবম তলা ছাড়া রবিবার সকাল থেকে এই ভবনে প্রবেশ করা যাচ্ছে। তবে লিফট চলছে না। পঞ্চম তলায় সিঁড়ির মুখে কয়েকজন পুলিশ সদস্য দায়িত্বরত রয়েছেন। তারা কাউকে সেখানে উঠতে দিচ্ছেন না। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কেবল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি প্রাপ্তরাই প্রবেশ করতে পারবেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ৭ নম্বর ভবন পরিদর্শনে আসেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খান। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত চারটি ফ্লোরে সংস্কার কাজ শেষ করতে ১০ থেকে ১২ দিন লাগবে। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা বলেছেন, তারা ১০-১২ দিনের মধ্যে সংস্কার কাজ করে দিতে পারবেন। আমরা চেষ্টা করবো যত তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করা যায়।’
তিনি বলেন, ‘৭ নম্বর ভবনে এখনও পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। আজকের মধ্যে পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
বৈদ্যুতিক লুজ কানেকশন’ থেকে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সচিব বলেন, ‘এটা অন্য জিনিস, এটা এখানে আলোচনার বিষয় নয়।
এই লুজ কানেকশনের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটা তদন্ত কমিটি করবে।’
এদিকে ১১ দিন পর সচিবালয়ে গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। ভবনটি সামনে দেখা গেছে, গণপূর্ত বিভাগের বিভিন্ন সেকশনের কর্মীরা সংস্কারের কাজ করছেন।
গত ২৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লেগে চারটি তলা পুড়ে যায়। এ চার তলায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অফিস ছিল।