• রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বলিউড তারকা কারিনাকে ‘বয়স্ক’ বলে বিপাকে পাকিস্তানি অভিনেতা ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে: মির্জা ফখরুল শিক্ষার্থীদের পিকনিক বাসের ধাক্কায় মিনিবাসের দুই যাত্রী নিহত কীভাবে ঢুকল আরও ৬০ হাজার রোহিঙ্গা যে ব্যাখ্যা দিলো পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সহ-সমন্বয়ক ঢাবি শিক্ষার্থী দুই দিন ধরে নিখোঁজ হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারে দুদকের অনুসন্ধান শুরু মালাক্কায় আন্তর্জাতিক হালাল ফেস্টিভাল’এ বাংলাদেশ হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি আলোচনা ৯০ শতাংশ সম্পন্ন এবার যা যা নিয়ে এলো পাকিস্তানি সেই জাহাজে দিল্লির সব স্কুলে অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে নির্দেশ

ভিটামিন ডি’র ঘাটতিতে

আপডেটঃ : সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৭

আপনি কি সারা শরীরে ব্যথা অনুভব করেন এবং সর্বক্ষণ অবসাদ বোধ করেন? কী জন্য এমন হচ্ছে কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। তাহলে বুঝবেন আপনার শরীরে ভিটামিন ‘ডি’-এর ঘাটতি হচ্ছে।

আমাদের দেশের এক জরিপে দেখা যায়, প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ ভিটামিন ডি-এর অভাবজনিত কারণে ভুগছে। ১৫ শতাংশ ব্যক্তি অপর্যাপ্ত ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিতে ভুগছে। খুশির কথা ধীরে ধীরে মানুষ এ সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে।

ভিটামিন ডি-কে বলা হয় সূর্যালোক ভিটামিন। অর্থাৎ সূর্যকিরণ থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন। আমার শরীরের ত্বক সূর্যালোক থেকে এ ভিটামিন সংগ্রহ করে। আর কিছু ভিটামিন ডি আসে খাদ্য থেকে। এ ভিটামিন ডি ঘাটতির কারণ হল শারীরিক কর্মকাণ্ডের অভাব। বদ্ধঘরে বসে দিনাতিপাত করা। বাইরে সূর্যোলোকে বের না হওয়া। বেশিরভাগ শহুরে চাকুরে ব্যক্তি ও ঘরে শুয়ে-বসে থাকা মহিলারাই এ ভিটামিন ঘাটতির শিকার। বিদেশিরা এজন্য সমুদ্র বা নদীর তীরে সূর্যস্নান করে। আমাদের দেশে গাঁয়ের মানুষ হাঁটে, মাঠে, ঘাটে কাজ করে। তাই তারা খুব কমই ভিটামিন ডি অভাবজনিত রোগে ভোগে।

ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির পরিমাণ কী

* ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে কোলেস্টেরল মাত্রা বৃদ্ধি পায়। অস্থিতে ক্যালসিয়াম গ্রহণ কমে যায়। হাড়ের শক্তি ও মাংসপেশির শক্তি হ্রাস পেতে থাকে। ফলে সারা শরীরে ব্যথা হয়। সারা দিন অবসাদ লাগে। ক্লান্তবোধ হয়। ঘন ঘন হাই ওঠে। ঘুম ঘুম ভাব হয়।

* ভিটামিন ডি-এর অভাবে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য থাকে না। অবিলম্বে এর প্রতিকার করতে কোনো অভিজ্ঞ চিকিৎসকের ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে।

প্রতিকার

শারীরিক সঠিক কর্মকাণ্ডের জন্য ভিটামিন ডি অপরিহার্য। তাই এর প্রতিকার অত্যাবশ্যক। শরীরে ভিটামিন ডি শোষণের জন্য দৈনিক অন্তত কিছুক্ষণ রোদে থাকা দরকার। সারা শরীরের ত্বকে রোদ লাগানো দরকার। এজন্য প্রাতঃভ্রমণ উপকারী। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে আধাঘণ্টা এবং ২টার পর আধাঘণ্টা শরীরে রোদ লাগানো অত্যাবশ্যক। কমপক্ষে ২০ মিনিট ত্বকে রোদ লাগানো জরুরি। বিনা ব্যয়ে এসময় আমরা ভিটামিন ডি পেতে পারি। মহিলারা মনে করেন, সূর্যালোক ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক। এ ধারণা ভিটামিন ডি ঘাটতি বাড়ায়।

ঘাটতি পূরণে কী খাবেন

সূর্যালোক ও ভিটামিন ডি বড়ির সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যে পরিবর্তন অত্যাবশ্যক। এজন্য মাছ, মুরগির গোশত, সয়াবিন, সি-এর সঙ্গে ভিটামিন ডি গ্রহণে বেশি উপকার হয়। সেইসঙ্গে ভিটামিন ‘এ’, ‘ই’ ও ‘কে’ নিতে হবে। এ ভিটামিন ঘাটতির রোগীরা সূর্যমুখীর বীজের সঙ্গে লবণ ও চিনি দিয়ে চাটনি খেলেও উপকার পাবেন। যারা ভিটামিন ডি বড়ি খান, তারা হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়ামের আগে বড়ি খাবেন।

দৈনিক একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য ৩০ থেকে ১০০ ইউনিট ভিটামিন ডি প্রয়োজন। ১০ থেকে ৩০ ইউনিট যথেষ্ট নয়। যারা বেশি ঘাটতিতে আছেন, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। তাদের হয়তো ভিটামিন ডি ইনজেকশন নিতে হবে।

লেখক : প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, সেন্ট্রাল হাসপাতাল, ঢাকা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ