ভোলা প্রতিনিধি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, সম্ভাব্য এমপি প্রত্যাশীরা নিজদলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য লবিং তদবির চালাচ্ছেন জোরেশোরে। আওয়ামীলীগ বিএনপির প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ভাবে প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছেন। এই আসনে সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহীম রাজনীতির মাঠ নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। তবে নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন কারণে তার প্রতি ক্ষুদ্ধ। তাই তৃণমুল নেতা কর্মীরা বিকল্প প্রার্থী খুজছেন। এদিকে বিগত কয়েকবছর ধরে এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারেক রহমান আন্তর্জাতিক পরিষদ (ইউএসএর) সভাপতি ও ভোলা জেলা বিএনপির সহ- শিল্প বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙীর এম আলম। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি খেকে মনোনয়ন পাবেন বলে সর্বত্র গুন্জন চলছে । জাহাঙীর এম আলমকে নিয়ে মাঠের রাজনীতি সরব হয়ে ওঠেছে। বিশ্বস্থ সুত্র থেকে জানাগেছে,জাহাঙীর এম আলম ইতিমধ্যে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আভাসও পেয়েছেন বলে জানাগেছে। সে লক্ষে তিনি নেতা কর্মীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাোযগ রক্ষা করে চলছেন। তাছাড়া তৃণমুল বিএনপি নেতা কর্মীরাও চাচ্ছেন এই আসনে নতুন প্রার্থী। তাই কর্মীরা নতুন প্রার্থী পেতে দলের হাইকমান্ডের কাছে জোড়ালো দাবী তুলছেন। এদিকে নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকায় তিন জন করে প্রার্থী প্রস্তুত করছেন চেয়ারপার্সন। সে তালিকায় অন্যতম ভাবে স্থান পেয়েছে জাহাঙীর এম আলমের নাম। যে কোন সময় দলের সবুজ সংকেত পেতে পারেন জাহাঙীর এম আলম। স্থানীয় সুত্র থেকে জানাগেছে, হাফিজ ইব্রাহীম বিগত আন্দোলন সংগ্রামে কোন ভুমিকা রাখেননি। আবার যে সমস্ত নেতা কর্মীরা মামলা হামলার শিকার হয়েছে তাদের পাশেও দাড়ান নি। নিজেকে সরকারী দলের সাথে আতাত করে নতুন নতুন লঞ্চ ব্যবসাসহ বিভিন্ন ব্যবসায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। বিশেষ করে ত্যাগী নেতাদেরকে পদ পদবি না দিয়ে তার আত্মীয়দের কথায় সুবিধাবাদিদের স্থান দিয়েছেন। তার প্রতি ক্ষোভ রয়েছে বহু নেতা কর্মীর। তার বিরুদ্ধে বিএনপির নেতারা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন। তাদের দাবি আগামী নির্বাচনে যেন জাহাঙীর এম আলমকে মনোনয়ন দেয়া হয়।