• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

জীববিজ্ঞান দ্বিতীয়পত্র

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

অলোক কুমার মিস্ত্রী, বিভাগীয় প্রধান, জীববিজ্ঞান বিভাগ

 

সরকারি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ, পিরোজপুর।

 

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিও। আজ আমি তোমাদের জীববিজ্ঞান ২য় পত্রের ১ অধ্যায়ের প্রাণীর বিভিন্নতা ও শ্রেণিবিন্যাস -বিষয়ের ওপর সৃজনশীল প্রশ্নোওর উপস্থাপন করব, যা ২০১৮ সালের এইচ.এস.সি পরীক্ষায় সকল বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

 

সৃজনশীল প্রশ্ন ঃ হাফসা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে রংবে-রংয়ের ঝিনুক কুঁড়িয়ে এনেছে। তার গৃহশিক্ষক এগুলো দেখে বললেন,এরা সকলে অক্টোপাস ও শামুকের পর্বভুক্ত। তবে এরা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেশ ভূমিকা রাখে।

 

(ক) সিলোম কী ?                                             ১

 

(খ) হাফসার কুঁড়িয়ে আনা রংবে-রংয়ের ঝিনুকগুলোর গঠন প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর।                                     ২

 

(গ) উদ্দীপকের প্রাণীর শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর। ৩

 

(ঘ) উদ্দীপকে উল্লেখিত পর্বের প্রাণীর অর্থনৈতিক গুরুত্ব আলোচনা কর।                                         ৪

 

 

সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ঃ

 

(ক) সিলোম ঃ পৌষ্টিকনালী ও দেহপ্রাচীরের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান, যা  মেসোডার্মাল পেরিটোনিয়াম পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে তাকে সিলোম বলে।

 

(খ) উত্তর ঃ মোলাস্কা পর্বের এসকল প্রাণীগুলো দেহপ্রাচীর ম্যান্টল নামক একজোড়া ভাঁজের সৃষ্টি করে, যা ম্যান্টল গহ্বরকে ঘিরে রাখে, ম্যান্টল থেকে নিঃসৃত রস দিয়েই এদের দেহখোলস তৈরি হয়।

 

(গ) উত্তর ঃ উল্লেখিত প্রাণীটি মোলাস্কা (Mollusca) পর্বের অন্তর্গত। মোলাস্কা পর্বের বৈশিষ্ট্য নিম্নে তুলে ধরা হলো ঃ-

 

 

দেহ নরম, অখন্ডায়িত এবং চুনময় খোলক দিয়ে আবৃত।

 

দেহের অঙ্কীয় দিকে পেশিযুক্তপদ বিদ্যমান।

 

পৃষ্ঠীয় দেহপ্রাচীর ম্যান্টল নামক একজোড়া ভাঁজের সৃষ্টি করে, যা ম্যান্টল গহ্বরকে ঘিরে রাখে।

 

সিলোম কেবলমাত্র হূদযন্ত্রের চারপাশে, জননাঙ্গের গহ্বরে এবং বৃক্কে সীমাবদ্ধ থাকে।

 

জীবনচক্রে লার্ভাদশা দেখা যায়।

 

 

(ঘ) উত্তর ঃ উল্লেখিত প্রাণীটি মোলাস্কা (Mollusca) পর্বের । মোলাস্কা পর্বের প্রাণীদের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বলতে বুঝায় এ পর্বের প্রাণী, যা আমাদের কী কী উপকারে আসে অথবা, আমাদের কী ধরণের ক্ষতিসাধন করে।

 

উপকারী প্রাণী হিসেবে ঃ

 

পৃথিবীর সর্বত্র  এটি পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে স্বীকৃত।

 

অলংকার, বোতাম ও অন্যান্য সৌখিন গহনা প্রস্তুতের উপাদান হিসেবে ব্যবহূত হয়ে থাকে।

 

ঝিনুক কৃত্রিমভাবে চাষাবাদ করে মূল্যবান মুক্তা সংগ্রহ করা হয়।

 

ঝিনুক পুড়িয়ে চুন (ক্যালসিয়াম কার্বনেট) তৈরি করা হয়।

 

শিল্পদ্রব্য তৈরিতে ঝিনুকের ব্যবহার রয়েছে।

 

 

অপকারী প্রাণী হিসেবে ঃ

 

কিছু ঝিনুক রয়েছে, যারা নৌকা ও ছোট জাহাজ ইত্যাদি নৌযানের তলদেশ ছিদ্র করে ক্ষতি সাধন করে।

 

কিছু প্রজাতির বিষাক্ত ঝিনুক আছে, যাদের মাংসল অংশ ভক্ষণে মানুষের জীবনাশংকা বা প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ