ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব—১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি জয়ের গৌরব গাঁথা সাফল্যটিকে দেশের ১৬ কোটি মানুষকে উপহার দিয়েছেন দলের কোচ এবং খেলোয়াড়রা। ভারতের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে প্রথম ইতিহাস, নারী সাফের ক্ষুদে ফুটবল লড়াইয়ে। আর এমন জয়টাকে কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন শুধু দেশের মানুষের জন্যই উপহার দেননি। সাফল্য তুলে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিয়েছেন। ফাইনাল শেষে ট্রফি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ছোটন বলেন, ‘আমাদের ক্রীড়া পাগল প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিলাম।’ শুধু তাই নয় অধিনায়ক মারিয়া মান্ডাও একই কথা বললেন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে। সঙ্গে দুজনেই উল্লেখ করলেন স্বাধীনতায় প্রাণ দেয়া সেই সব মানুষের কথা। মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন দেয়া মানুষের প্রতিও শ্রদ্ধা জানালেন তারা।
ফাইনালে বড় ব্যবধানে ম্যাচ না জেতার আফসোস নেই কোচ ছোটনের। তবে ভারতকে অসহায় বানিয়ে দেয়ার করুণ ছবিটা দেখে নিজের খেলোয়াড়দের উপর দারুণ খুশি কোচ।
৫৫ মিনিটে তহুরার গোলটা নাকচ করার পরই ভারত খেলায় ফিরেছিল মনে করছেন ছোটন। তিনি বলেন, ‘গোলটা হয়ে গেলে অন্য রকম হতো। তারা খেলায় ফিলতে পারতো না। দেখুন ভারত যখন গোল খেয়েছে তারপর আর খেলায় ফিরতে পারেনি।’
সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান অংশগ্রহণ করে। লিগ পদ্ধতিতে খেলা হয়। টপ দুই দল ফাইনালে উঠে। বাংলাদেশই একমাত্র দল চার খেলায় জিতেছে। প্রথম খেলায় ৬-০ গোলে নেপালকে, দ্বিতীয় খেলায় ৩-০ গোলে ভুটানকে এবং শেষ খেলায় ভারতকে ৩-০ গোলে হারায়। ফাইনালে বাংলাদেশ ১-০ গোলে ভারতকে হারায়। চার খেলায় ১টি গোলও হজম করেনি। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।
কোচ বলেন, বাংলার মেয়েদের ফুটবলে দর্শক সমর্থন পেয়েছে। মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। ছোটনের কথা হচ্ছে এই মেয়েদের জন্য আরো ভালো কিছু করার সুযোগ রয়েছে। দেশের নারী ফুটবলে উন্নতি করতে হলে এই সব খেলোয়াড়দের দিক নজর দেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। কারণ মেয়েরা প্রমাণ করেছে এবং দেশকে কিছু দিয়েছে। এখন দেশের উচিত তাদেরকে দেয়া।’