• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ অপরাহ্ন

আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বড়দিন উদযাপন

আপডেটঃ : সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সোমবার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন উদযাপিত হয়েছে। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট এ দিনে ফিলিস্তিনের বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টধর্মানুসারীরা যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করেন। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে প্রভু যিশুর এ ধরায় আগমন ঘটেছিল।
ধর্মীয় এ উৎসব উপলক্ষে সোমবার ছিল সরকারি ছুটি। এ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দেন।
রাজধানীর গির্জা ও হোটেলেগুলো বড়দিনের ঐতিহ্যবাহী জাঁকজমকপূর্ণ সাজসজ্জায় সাজানো হয়। গোশালা স্থাপন, রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয় দৃষ্টিনন্দনভাবে। গির্জা ও অভিজাত হোটেলগুলোতে লাল পোশাক পরা সফেদ দাঁড়ি গোঁফের বুড়ো সান্তাক্লজ উপহারের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ছোট্টদের হাতে তুলে দেন মজার মজার উপহার।
রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় (পবিত্র জপমালার গির্জা) বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। গির্জা ও এর আশপাশে রঙিন বাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়। প্রচুর জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতর রঙিন করা হয়। ভেতরে সাজানো হয় ক্রিসমাস ট্রি।
বড়দিন উপলক্ষে গির্জার মূল ফটকের বাইরে সোমবার থেকে মেলা বসেছে। ওই মেলার স্টলগুলোতে বড়দিন ও ইংরেজি নতুন বছরের কার্ড, নানা রঙের মোমবাতি, সান্তাক্লজের টুপি, জপমালা, ক্রিসমাস ট্রি, যিশু-মরিয়ম- যোসেফের মূর্তিসহ নানা জিনিস বিক্রি হতে দেখা যায়।
রাজধানীর গির্জাগুলোর পাশাপাশি পাঁচ তারকা হোটেল সোনারগাঁও, লা মেরিডিয়ান, রেডিসন ও ওয়েস্টিনসহ বিভিন্ন হোটেল ও বাসাবাড়িতে সুসজ্জিত ক্রিসমাস ট্রি ও বড়দিনের কেক স্থাপন করা হয় আরও কয়েকদিন আগে থেকেই। সোমবার হোটেলগুলোতে বড়দিনের আয়োজন উপলক্ষে সকাল ও বিকালে শিশুদের জন্য ছিল সান্তাক্লজের উপহার অনুষ্ঠান এবং সবার জন্য বুফে ডিনারের ব্যবস্থা রাখা হয়।
দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিস্টান পরিবারে কেক তৈরি হয়, ছিল বিশেষ খাবারের আয়োজন। দেশের অনেক অঞ্চলে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর বসে। আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য অনেকে বড়দিনকে বেছে নেন। গত রবিবার রাতে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার সকাল থেকে বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয় বলে গির্জা সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, বড়দিন নির্বিঘ্নে পালন করার লক্ষ্যে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ