মোকামেল হোসেন জুনায়েদ, ভোলা ॥
ভোলায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করেছে বিল্লাল নামে এক সেনা সদস্য। অচেতন অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ার কারনে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। বর্তমানে গৃহবধু আখিঁ তারা চিকিৎসাধিন অবস্থায় মৃত্যুও সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ অবস্থায় ভোলায় থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। তবে সেনা সদস্য মো: বিল্লাল হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে যে স্ত্রীকে মারধর এর যে অভিযোগ উঠছে তা বিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমি ওকে কোন হাত কেটে দেই নি। আমাকে ফাসানোর জন্য নিজের হাত নিজে কেটেছে আখিঁ। মূলত সংসরা জীবনে টুকটাক ঘটনা ঘটেই থাকে।
সুত্রে জানা যায় যে, সদর উপজেলার নবীপুর সাইক্লোন সেল্টার এলাকার বাসিন্দা সেনা সদস্য বিল্লাল হোসেনের এর সাথে ৭ বছর আগে বিয়ে হয় আখিতারা বেগম এর। বিয়ের পর সংসার জীবন ভালো চললেও দিন যত ঘরাতে থাকে ততই যেন সংসার জীবনে অশান্তি বাড়তে থাকে। গত শুক্রবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পযার্য়ে বিল্লাল তার তার স্ত্রীর আখিঁ মাথায় আঘাত করে ও হাত ব্লেড দিয়ে কেটে দেয়। পরে অজ্ঞান হয়ে পরে থাকলে তাকে রাতেই ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার দুপুর ১২টার দিকেও আখিতারার জ্ঞান না ফিরার কারনে আখিতারাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে চাইলে বাধাদেয় পাষন্ড স্বামী বিল্লাল ও তার সহোযোগীরা। পরে পুলিশের সহোযোগিতায় আখিতারাকে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র্ভতি করা হয়।
সুত্রে জানা যায়, ২০১১ সালো ভোলা চরসামাইয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চরছিফলি গ্রামের ওমর আলি হাওলাদার বাড়ির আখিতারা বেগমের সাথে বিয়ে হয় ধনিয়া ইউনিয়নের ওযার্ডের নবীপুর সাইক্লোন সেল্টার এলাকার আবদুল হাকিমের ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনির সদস্য বিল্লাল হোসেনের সাথে। বিয়ের পর থেকেই বিল্লালের পিতা মাতা ও বিল্লাল আখির পিতার কাছে বিভিন্ন সময়ে যৌতুক দাবি করত। মেয়ের সুখের জন্য আখির পিতা বিল্লালকে বিভিন্ন আসবাবপত্র সহ নগদ অর্থ যৌতুক হিসাবে প্রদান করে। কিন্তু এতেও ক্ষান্ত হয়নি বিল্লালের পরিবার।
চাকরি সুত্রে বিল্লাল দেশের বিভিন্ন যায়গায় থাকার কারনে বিল্লালের স্ত্রী আখি বিল্লালের পিতামাতার কাছে থাকত। বিল্লালের পিতামাতা বিভিন্ন সময়ে যৌতুক চেয়ে আখির উপর র্নিযাতন করত। বিল্লাল ছুটিতে বাড়িতে আসলে সে পিতামাতার সাথে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন সময়ে র্নিযাতন করত। এ বিষয়ে আখিতারা রংপুর খোলাহাটি ২১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেনাক্যাম্পে বিল্লালের উদ্ধতন র্কমকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিলে কতৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে বিল্লালকে তিরষ্কার সহ তার স্ত্রী আখিতারা কে রংপুরে সেনাবাহিনি তত্বাবধায়নে আবাসিক বাসায় রাখার নির্দেশ দেয়।
বিল্লাল উদ্ধতন র্কমকর্তাদের চাপে স্ত্রীকে নিয়ে কোয়াটাওে উঠে। এই ঘটনার কয়েকমাস পরে বিল্লাল রাঙ্গামাটিতে বদলি হলে স্ত্রী আখিতারাকে না নিয়ে ভোলাতে পাঠিয়ে দেয়। এবং আখি তারা কেএই বলে শাসায় যে ,তুই স্যারদের কাছে বিচার দিয়ে আমাকে ছোট করছো। তার পর তেকে সে বিভিন্ন সময়ে স্ত্রী আখিতারা কে হুমকি প্রদান করওে থাকে এবং যৌতুক দাবি করে। এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে র্নিযাতন করে আসছিল।
গত ২৬ তারিখ বিল্লাল ছুটিতে বাড়িতে আসে। বাড়িতে এসেই সে স্ত্রী আখিতারার কাছে যৌতুক হিসাবে ৫লাখ টাকা দাবি করে। আখিতারা প্রতিবাদ করলে বিল্লাল আখিতারা কে মার ধর করে। পরে আখিতারা পুনরায় বিল্লালের অফিসারদেও কাছে পুনরায় জানানোর চেষ্টাকরলে বিল্লাল আখিতারাকে মারধর করে। আখি ভিষয়টি তার বড় ভাই সাবিরুলকে জানালে বিল্লাল ক্ষিপ হয়। শুক্রবার বিকালে বিল্লাল, বিল্লালের পিতা হাশিম, মা আনোয়ারা, ভাই আমান মিলে বেধক মারধর করে। এদিকে বোনের ফোন পেয়ে ভাই সাবরুল বোনের বাড়িতে গিয়ে দেখে অচেতন অবস্থায় পওে আছে। পরে আখিতারাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে আখিতারা বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবস্থায় আছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এর ভোলা জেলা সভাপতি হোসনেয়ারা চিনু বলেন, একজন সৈনিক রাষ্ট্রের একটা বিশেষ অবস্থানে থাকে। এরা দেশের উপকারে অনেক কাজ করছে। কিন্তুু যখন একজন সৈনিক গৃহবধূ নির্যাতন করার কথা শুনি তখন এটা মেনে নেয়া যায় না। আমরা দ্রুত এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের বিচার দাবী করছি।
ভোলা সদর হাসপাতালের ডা: শরীফ আহমেদ বলেন, গৃহবধূ নয়ন তারা মাথায় ও হাতে আঘাতের চিন্ন পাওয়া গেছে। অবস্থা কিছুটা খারাপ থাকায় আমরা বরিশালে রিফার করি। এই ঘটনায় পরিবারে পক্ষ থেকে ভোলা সদর থানায় এই অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি ছলছে।
এব্যাপারে সেনা সদস্য মো: বিল্লাল হোসেন এ ঘটনার অস্বীকার করে বলেন, আমার স্ত্রীকে মারধর করার প্রশ্নেই আসে না। ওই দিন তার সাথে আমার কথাকাটাকাটি হয়। সে নিজেই তার শরীরে ব্লেড দিয়ে এ অবস্থা করেছে। আমি এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নই।