• বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৩২ অপরাহ্ন

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে চরাঞ্চলের কৃষকের মুখে হাসি ভূট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৮

আ: রশিদ তালুকদার(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি॥ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে  ভূট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। কৃষক অধীর আগ্রহে মনের খুশিতে মাঠে কাজ করছে। চরাঞ্চলের এলাকা জুড়ে এখন শুধু ভূট্টার উঠতি চারা শোভা পাচ্ছে। ঝিলমিল করে বাতাসে দোলছে ভূট্টার সবুজপাতা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার গাবসারা, গোবিন্দসী ও অর্জুনা ইউনিয়নের অধিকাংশ প্রান্তিক চাষীরা ভূট্টা চাষ করেছে। কারন অন্য ফসলের তুলনায় ভূট্টা চাষ কম খরচে বেশি লাভজনক  হওয়ায় এ ভূট্টা চাষ করছে তারা। এতে খরচ কম ফলন বেশি। পানি সেচও তেমন বেশি দিতে হয়না। এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করলে ১৫ থেকে ২০ মন ধান হয় অপর দিকে এক বিঘা জমিতে ভূট্টা হয় ২৮ থেকে ৩০ মন দামেও তেমন পার্থক্য নেই। কীটনাশক সারের ব্যবহারও কম। গত বছরের চেয়ে এবছর ভূূট্টা চাষ হয়েছে অনেক বেশি। জমিতে ফলনের  আকৃতি ভাল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। অন্যান্য রবি শস্যের চেয়ে ফলন বেশি হওয়ায় ভূট্টার এ বিপ্লব দেখা দিয়েছে। তাছাড়া সহজে আবাদযোগ্য এবং অধিক লাভ জনক হওয়ায় ভূট্টা চাষে কৃষক বেশি আগ্রহী হয়েছে। রেহাই গাবসারার কৃষক মোঃ সাইদালী মন্ডল জানান, আমি গত বছরের চেয়ে বেশি  জমিতে ভূট্টা চাষ করেছি  এবছর যেমন দেখছি তাতে বিঘাতে ৩০ মন ছাড়িয়ে যাবে আসা করছি। চন্ডিপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ জানান, ‘আমাদের বাচতে হলে  ভূট্টা চাষ করতে হবে। কারন অন্য ফসলের চেয়ে ভূট্টা চাষ লাভজনক। আর কৃষি অফিস থেকে ভূট্টা চাষের জন্য সময়মত বীজ, সার ও কীটনাশকও পেয়েছি’ । উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা  জানান, ভূট্টা চাষে কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটায় তাই তারা বেশি বেশি ভূট্টা চাষ করে। উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোছা: লাইলী খাতুন বলেন, আমাদের প্রান্তিক কৃষকরা যখন যে পরামর্শ চেয়েছে  আমরা তা ঠিক ঠিক মত দিয়েছি তাছাড়া ভূট্টার আখ গোখাদ্য আর ডাটা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় এজন্যও কৃষক ভূট্টা চাষে আরো বেশি  আগ্রহ সহকারে এ আবাদ করে থাকে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জেলা প্রতিনিধিকে জানান, চরাঞ্চলের কৃষকের অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভূট্টা একটি লাভজনক ফসল তাই তারা অতি আগ্রহে ভূট্টা  চাষ করে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: জিয়াউর রহমান জানান, গত বছর ১০৭৭ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ হয়েছিল এবছর লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে ১২৪৮ হেক্টর জমিতে ভূট্টা লাগিয়েছে। ইতিমধ্যেই  আমরা জানতে পেরেছি ফলনও এবার অনেক বেশি হবে। আমাদের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা আছে তারা কৃষকের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছে। চরাঞ্চলের ভূট্টা চাষিরা অন্য ফসলের চেয়ে ভূট্টাকে এখন একমাত্র ফসল হিসেবে বেছে নিয়েছে। ফলন যেমনি হউক সঠিক মুল্য পাবে কিনা এমনটাই আশঙ্কা এখন এই নিভৃত চরাঞ্চলের কৃষকের। গতবছর যে মূল্য পেয়েছে তার চেয়ে বেশি মূল্য থাকলে বন্যায় অন্য ফসলের যে ক্ষতি হয়েছে তা কিছুটা হলেও পুশিয়ে নিতে পারবে এই ভূট্টা চাষে। অর্জুনা ইউপির বার বার নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মো: আইয়ুব আলী মোল্লা জানান, অর্জুনা ইউনিয়নে এ বছর ভূট্টার আবাদ ভালো দেখা যাচ্ছে। আমি সকল ভূট্টা চাষিদের প্রতি অধিক ভূট্টা ফলনের লক্ষ্যে খোজ খবর নিচ্ছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ