• শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১০ অপরাহ্ন

একাদশ জাতীয় নির্বাচন টাঙ্গাইল-২ গোপালপুরে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন ইউনুছ ইসলাম ঠান্ডু

আপডেটঃ : সোমবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি॥
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার প্রতিবাদকারী গোপালপুর উপজেলা পরিষদের দুইবারের সফল চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমে নিয়মিত সভা সমাবেশ ও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। বৃহত্তর জনগোষ্ঠির সেবা করার উদ্দেশ্যে তিনি বিভিন্ন সভা, সমাবেশ, ক্রিড়া-সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদানের মধ্যদিয়ে গোপালপুর-ভূঞাপুরে নিজের অবস্থান তুলে ধরছেন। এ সময় তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে তার পক্ষে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি ও বর্তমান সরকারের দেশ পরিচালনায় সফলতা তুলে ধরছেন। ইতোমধ্যে ভূঞাপুর-গোপালপুরের বিভিন্ন জনগুরত্বপূর্ণ স্থান, শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসহ পাড়া মহল্লায় তার ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও পোষ্টার লাগিয়েছেন। ভূঞাপুর ও গোপালপুর উপজেলা ও ২টি পৌরসভা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সাথে নিয়ে গ্রামে গ্রামে জনসংযোগের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। মোঃ ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর গণসংযোগে উৎফল্লিত হয়ে উঠেছে গোপালপুর-ভূঞাপুরবাসী। টাঙ্গাইল- ২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন। তৃণমূল সূত্র থেকে জানা যায়, সকল সম্ভাব্য প্রার্থীর চেয়ে বর্তমান গোপালপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। ভূঞাপুর ও গোপালপুর উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও ২টি পৌর এলাকা  সরেজমিনে ঘুরে বর্তমান জরিপে অন্যান্য প্রার্থীর তুলনায় মোঃ ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু ৫৪.৭৫% জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছেন। এজন্য আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দৌড়ে তিনিই এগিয়ে রয়েছেন বলে জরিপে পাওয়া গেছে। তিনি দুই বারের উপজেলা চেয়ারম্যান দায়িত্ব প্রাপ্ত অবস্থায় গোপালপুরে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন মূলক কাজ দক্ষতার সাথে করেছেন। টাঙ্গাইল-২ এ আসনটির সরকার দলীয় ইউনিয়ন পর্যায়ের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি ও নেতাকর্মীরা মো: ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর জাতীয় সংসদের মনোনয়ন পেতে পারেন তার জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ মনোনয়ন বোর্ড বরাবরে দাবী জানিয়েছেন।
জননন্দিত এই নেতার জন্ম ১৯৫৭ সালের ৯ অক্টোবর টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার কায়তা গ্রামে। তার পিতার নাম মৃত মোকছেদ আলী তালুকদার। মাতা মৃত খোদেজা বেগম। ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর ছাত্র জীবনের পুরোটা জুড়ে ছিল আওয়ামী ছাত্রলীগ রাজনীতির চর্চা। বিএনপি জামায়াত জোট সরকার পতন আন্দোলনের সময় তার পরিচিতির ব্যাপক প্রসার ঘটে। ছাত্র জীবন থেকে একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছেন। সাম্য, সামাজিক ন্যায় বিচার এবং শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থার পক্ষে লড়ে যাচ্ছেন তিনি। সর্বপরি তার নির্বাচনী এলাকাকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করে মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ^াসী এ নেতা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক হাতকে শক্তিশ্লী করার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
মাটি ও মানুষের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ রাজনৈতিক নেতা মোঃ ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু গোপালপুর-ভূঞাপুরে অবিরাম চলছে তার পক্ষে প্রচারণা। তিনি যে এলাকায় যাচ্ছেন সে এলাকার মানুষ তাকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ভিড় করছে। নেতা কর্মীদের পাশাপাশি মাঠ ঘাটে সর্বত্র সাধারণ মানুষের মুখে এখন ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুকে ঘিরেই চলছে বেশি আলোচনা। গত বন্যা দুর্গত গোপালপুর ও ভূঞাপুরে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রান সামগ্রী বিতরণ ও চিকিৎসা সেবাসহ জনকল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সমাজ ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত কখনও সে বিবেচনা করেন না। দলমত নির্বিশেষে এলাকার মানুষের প্রতি তিনি সব সময় শ্রদ্ধাশীল। কোন লোভ লালসা তাকে কখনও সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি। এলাকার উন্নয়ন, আপদে-বিপদে এগিয়ে আসা এবং মানুষের মঙ্গলে যেকোন কর্মকান্ডে তাকে পাওয়া যায় অগ্রণী সেনানী হিসেবে।
মোঃ ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর সাথে কথা হয় এ প্রতিনিধির। আপনি আওয়ামীলীগের মননোয়ন চান কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পাকিস্তানী শোষকদের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে ন’মাস লড়াই করে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াসী একজন মানুষ হিসেবে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাইবো এটাই স্বাভাবিক।
রাজনীতিতে আপনার অবস্থান কি? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী একজন কর্মী হিসাবে জনকল্যাণে কাজ করছি। পর পর দুইবার গোপালপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে আমার উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছি।
কি উদ্দেশ্যে আপনি এম.পি হতে চান? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্র জীবন থেকে বিভিন্ন সময় শোষন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছি। নানা প্রতিকুলতা সত্বেও আমার জন্মস্থান গোপালপুর ও ভূঞাপুর বাসীর সেবায় নিজেকে সচেষ্ট রাখার চেষ্টা করছি। তাদের সুখে-দুখে পাশে থাকতে চাই। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের স্বার্থে জনগনের ম্যান্ডেট প্রয়োজন। তাছাড়া গণমানুষের সুখ-দুখের কথা সর্বোচ্চ ফোরাম জাতীয় সংসদে গুরুত্বের সাথে তুলে ধরার জন্য জনগনের রায়ে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে চাই।
গোপালপুর-ভূঞাপুর বাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গোপালপুর-ভূঞাপুরের প্রতিটি মানুষ আমার প্রিয়। সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা পেলে বাকী জীবন আমি তাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখব ইন্শাআল্লাহ্।
গোপালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হালিম তালুকদার, ভূঞাপুর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্মআহব্বায়ক মোঃ আজহারুল ইসালাম, ভূঞাপুরের আওয়ামীলীগ নেতা মো: মর্ত্তুজ আলী সহ গোপালপুর-ভূঞাপুরের বিভিন্ন পর্যায়ের পর্যাপ্ত নেতাকর্মীরা ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর পক্ষে জনমত সৃষ্টির লক্ষে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ