রংপুর প্রতিনিধি ॥
আাদিবাসীদের জমি ফেরতসহ ৭ দফা দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত নগরীর কাচারী বাজার এলাকায় গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে রংপুর জেলা জাতীয় আদিবাসী পরিষদ। কর্মসূচি পালন শেষে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে ৭ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদ রংপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মনিলাল দাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রংপুর জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অশোক সরকার, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিভূতী ভূষণ মাহাতো, রংপুর শাখার সভাপতি রাজিব কুমার মাহাতো, সাবেক সভাপতি পরিমল মাহাতো, সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ রংপুর জেলা সমন্বয়ক আব্দুল কুদ্দুস, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি গৌতম রায়, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি রংপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক শাহিন রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রংপুর মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম টুটুল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রংপুর জেলা সভাপতি রথীশ চন্দ্র ভৌমিক, পীরগঞ্জ ভূমিহীন কল্যাণ সমিতির সভাপতি রোজিনা সরেন, সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট রংপুর জেলা কমিটির সদস্য প্রহল্লাদ রায়, আদিবাসী সাংস্কৃতিক সংঘ, শেখপাড়া, রংপুরের সভাপতি বুধু ধানোয়ার প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, গাইবান্ধার সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মের আদিবাসী-বাঙ্গালিদের ১ হাজার ৮৪২ দশমিক ৩০ একর সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার দাবি জানান। একইসাথে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর হামলা করে তিনজন আদিবাসীকে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, নির্যাতনের সাথে জড়িত সকলের বিচার ও শাস্তির দাবি করেন। তারা ঘটনার মূল মদদদাতা স্থানীয় এমপি আবুল কালাম আজাদ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুলের শাস্তির দাবি করে বক্তারা সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মের আদিবাসী-বাঙ্গালিদের ৭ দফা দাবির পূর্ণ সমর্থন জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্মের নামে নেওয়া সম্পত্তি ফেরেেতর দাবিতে আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে আদিবাসী ম্যামল হেমব্রম, মঙ্গল মার্ডি ও রমেশ টুডু নিহত হন। আহত হন অসংখ্য আদিবাসী। এসময় আদিবাসীর বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, আবাদি ফসল নষ্ট, ঘরবাড়ি ভাংচুর এবং নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।