রংপুর অফিস॥
শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে কুড়িগ্রামের মনিডাকুয়া গ্রামের এনামুল হকের স্ত্রী নুরিজা বেগম (৩০) এবং গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার গোলাম মোস্তফার স্ত্রী আরজিনা বেগম (২৮) মারা যান। এ নিয়ে গত ১৩ দিনে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ নারী-শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে মারা যান লালমনিরহাট জেলার সদর থানার সাম্মী আখতার (২৭), একই জেলার পাটগ্রামের ফাতেমা বেগম (৩২) ও আলো বেগম (২২), রংপুরের কাউনিয়ার গোলাপী বেগম (৩০), নীলফামারীর রেহেনা বেগম (২৫), রংপুর নগরীর নজিবেরহাট এলাকার বেলাল হোসেনের স্ত্রী আফরোজা খাতুন (৪০), ঠাকুরগাঁও শহরের থানাপাড়ার আঁখি আক্তার (৪৫), রংপুরের জুম্মাপাড়া পাকার মাথার রুমা খাতুন (৬৫), রংপুর মাহীগঞ্জের চাঁন মিয়ার স্ত্রী মনি বেগম (২৫), নীলফামারী সদরের সোনারাম গ্রামের আমজাদ হোসেনের স্ত্রী মারুফা খাতুন (৩০), লালমনিরহাট জেলার রাজপুর গ্রামের শুকমনি (৭০), রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার জামেরন বেওয়া (৮০) ও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার হাসু বেগম (৬৫)।
রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, চলমান শৈত্যপ্রবাহ ও শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে গত ৬ জানুয়ারি থেকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার অর্ধশত নারী ও শিশু। আহতদের শরীরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
রংপুর বার্ন ইউনিটের সহকারী পরিচালক নূরে আলম জানান, প্রচন্ড শীত থেকে বাঁচতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহানোর সময় বিভিন্ন সময় অন্তত ৫৫ জন দগ্ধ হন। এদের রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে দুই নারীর মৃত্যু হয়।