• বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ অপরাহ্ন

হাঁসের খামার গড়ে মামা-ভাগিনার ভাগ্যবদল

আপডেটঃ : শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৮

কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি॥
চাঁদপুরের কচুয়ার পালাখাল গ্রামে বানিজ্যিক ভাবে হাঁসের খামার করে ভাগ্য বদল হয়েছে খামারী মামা মামুন দেওয়ান ও ভাগিনা বাবুল সর্দারের। এ খামার গড়ে তারা এখন প্রায় সাফল্যের পথে।
জানাগেছে, উপজেলার পালাখাল গ্রামের বাসিন্দা বাবুল সর্দার কোন ধরনের কারিগরি প্রশিক্ষণ ছাড়াই ২০১৬ সালে প্রথমত ‘সখের বসেই’ নিজ গ্রামে উন্নত পরিবেশে প্রায় ৫৫ শতাংশ জমির উপর ৩টি পুকুরে সর্দার পোল্ট্রি ফার্ম নামে হাঁস ও মাছ চাষের খামার গড়ে তোলেন। তার খামারে বর্তমানে জিংডিং, হাকি ক্যাম্পেন ও দেশি জাতসহ প্রায় ২ হাজার হাঁস রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১১’শ থেকে ১২’শ ডিম উৎপাদন হয়ে থাকে। আর সেই ডিম গুলো পাইকারী ৮ টাকা ধরে বিক্রি করে এবং হাঁসগুলো টানা ১৮ মাস ডিম দিয়ে থাকে।
খামারি বাবুল সর্দার এ প্রতিবেদক কে জানান, একদিন বয়সের বাচ্চা তিনি নারায়নগঞ্জের হাঁস গবেষণা কেন্দ্র থেকে ২০ টাকা ধরে ক্রয় করে থাকেন, পরবর্তীতে ওই বাচ্চা গুলোকে টানা লালন পালন করে ৪ থেকে ৫ মাস পর ডিম দিতে থাকে। তার খামারে উৎপাদিত ডিম স্থানীয় পালাখাল, সাচার, কচুয়া বাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা তা ক্রয় করে নিয়ে যায়। বর্তমানে তার খামারে পার্টনার হিসেবে মামা ফারুক দেওয়ান ও ৩ জন কর্মচারী রয়েছে। তিনি আরো জানান, কোন ধরনের চাকুরি বা ব্যবসা না করে হাঁসের খামার ও মাছ চাষ করেছি। ভবিষ্যতে খামারে আরো হাঁস বাড়িয়ে খামার আরো উন্নত করা হবে। খোলা মেলা সুন্দর পরিবেশ হওয়ায় হাঁসের খামার দেখতে প্রতিদিন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন ভিড় জমায়।
কচুয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হায়দার আলী আমাদের প্রতিনিধি কে জানান, বাবুল সর্দার ও ফারুক দেওয়ান হাঁসের খামার গড়ে সাবলম্বী হয়েছেন। তাদের এ সাফল্য দেখে এলাকায় আরো অনেকেই হাঁস পালনে আগ্রহী হচ্ছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ