সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি॥
সিরাজগঞ্জে তৃতীয়দিনের মতো চলছে পরিবহন ধর্মঘট। যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দ্রুত বিচার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পদক লিটন সরকার। লিটন সরকার বলেন, যুবলীগের দুই নেতা গ্রেফতারের পরেই কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা বেলকুচির চালা ও মুকুন্দগাঁতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। কোনো অঘটন ঘটলেই পরিবহনের উপর হামলা, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করে। এর কারণে পরিবহন মালিকরা সর্বশান্ত হয়ে পড়ছে। বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না করলে সিরাজগঞ্জ থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দিব। বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হেমা পরিবহনের মালিক হাসানুর রহমান থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরছে কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ করেন এই নেতা। বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, হেমা পরিবহনের মালিক হাসানুর রহমান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি। এদিকে সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর সড়কে শুক্রবার সকালে থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘট রোববারও অব্যাহত থাকায় সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। জেলা সদর থেকে তৃতীয়দিনেও এনায়েতপুর সড়কে কোনো বাস চলাচল করেনি। ঢাকা-বেলকুচি-এনায়েতপুর সড়কেও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সিরাজগঞ্জ- এনায়েতপুর সড়কের যাত্রীরা সিএনজি-অটোরিকশায় করে চলাচল করছেন। উল্লেখ্য, বেলকুচি পৌর মেয়রের কার্যালয়ে হামলা ও মেয়র আশানুর বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বৃহস্পতিবার উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা ও যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক সরকারকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে তাদের সমর্থকরা সদরের রাস্তাঘাটে ব্যারিকেড দিয়ে ২০/২২টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাস-ট্রাক ভাঙচুর ও হেমা পরিবহন বাসে অগ্নিসংযোগ করে।