• শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন

ভোলা- ২ আসনে হাফিজ ইব্রাহিমকে পিছনে ফেলে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে মুকুল

আপডেটঃ : সোমবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৮

 

ভোলা প্রতিনিধি

আসছে একাদশ জাতিয় সংসদ নির্বাচন। :লীগ বিএনপি দুই দলের মধ্যে ভোটের আমেজ বিরাজ করছে। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় নেতাদের মনোনয়ন পাওয়া নিয়েও কর্মীরাও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পরেছে। এরই মধ্যে বিএনপি :লীগের সাবেক বর্তমান সংসদ সদস্যদের কাজের মুল্যায়ন শুরু করে দিয়েছে সাধারণ জনগণ। দুই দলের প্রার্থীদের নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষন। দৌলতখান বোরহানউদ্দিন উপজেলার প্রত্যন্তঅঞ্চলের মানুষের সাথে কথা বলে জানাগেছে নানা তথ্য। জানাগেছে আসনে ২০০১ সালে বর্তমান বানিজ্য মন্ত্রী  তোফায়েল আহমেদকে পরাজিত করে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হাফিজ ইব্রাহিম। তিনি সাংসদ নির্বাচিত হয়ে এলাকয় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। পাশাপশি সাধারণ জনগণ এবং নেতা কর্মীদের মুল্যায়ন করেছেন।
ফলে তার জনপ্রিয়তা হয়ে যায় আকাশচুম্বি। ২০১৪ সালের জানুয়ারি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে :লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা আলী আজম মুকুল। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে এমপি নির্বাচিত  হলেও মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই আপন করে নেন দুটি উপজেলার জনগণকে। উন্নয়নের ধারাবাহিক পরিকল্পনা নিয়ে তা যথা সময়েই বাস্তবায়ন করছেন  তিনি। এমনকি দলীয় নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে তাদের সুসংগঠিত করে দলের সাংগঠনিক ভিত মজবুত করেছেন এখন ভোলা আসনে তাকে ঘিরেই অতিতের তুলনায় দল অনেক বেশি শক্তিশালী বলে মনে করেন তৃণমুল নেতাকর্মীরা। এক সময়ের দাপুটে সংসদসদস্য জনপ্রিয় নেতা হাফিজ ইব্রাহিমের বিকল্প কোন নেতা নেই বলে জনশ্রুতি ছিল। কিন্ত সেই জনপ্রিয়তার জনশ্রুতি এখন উল্টো বর্তমান সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলকে ঘিরে চাউর হচ্ছে। প্রসংঙে দৌলতখান উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল পারভেজ জানান,আমরা দৌলতখানবাসি আলী আজম মুকুল ভাইয়ের মত নেতা পেয়ে গর্ববোধ করছি। কারণ তিনি প্রকৃত জনগণের নেতা। তিনি এমপি হওয়ার পর থেকে দৌলতখানে নজিরবিহীন উন্নয়ন হয়েছে দৌলতখানে শতাধিক পরিবারকে নিজ অর্থায়নে পুনবাসন চিকিৎসা করিয়ে দৃষ্টান্তরূপ দিয়েছেন।  বিএনপির সাবেক এমপি সন্ত্রাসীদের লালন পালন করলেও আমাদের নেতা মুকুল ভাই তাদের কোন ভাবেই আশ্রয়প্রশ্রয় দেন নি।  ওই আমলে  দৌলতখান বাজারের চার পাশে মদের গন্ধে মানুষ হাটা চলা করতে পারতো না। অথচ মুকুল ভাই গোটা সমাজ থেকে মাদক নির্মুল করতে আপোষ   করেননি কোন নেতা কিংবা ব্যক্তির সাথে। তার রাজনৈতিক দুরদর্শিতা সততায় তিনি :লীগের আবারো মনোনয়ন পাবেন। তার পক্ষেই অন্য যে কোন দলের প্রভাবশালী নেতার সাথে অনায়াসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয় অর্জন করা সম্ভব। বিএনপির একাধিক নেতা কর্মীরা জানান,হাফিজ ইব্রাহিম এখন আর পুর্বের মত নেতা কর্মীদের তেমন কোন খোজ খবর রাখছেননা। তিনি এখন লঞ্চ ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে তারা জানান। এক সময়ে তার প্রতি সাধারণ জনগণ নেতা কর্মীদের আনুগত্য থাকলেও সম্প্রতি সময়ে তিনি :লীগের সাথে একাকার হয়ে নির্ভিগ্নে লঞ্চ ব্যবসাসহ বিভিন্ন ফায়দা হাছিল করেছেন। এসব বিষয়ে সাধারণ জনগণ কর্মীরা অবগত হলে তার প্রতি ক্ষোভ ঘৃনার সৃষ্টি হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ