• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন

বাড়ী ফিরছে শুঁটকী পল্লী জেলেরা

আপডেটঃ : সোমবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৮

বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
প্রচন্ড শীতে বঙ্গোপসাগর পাড়ের দুবলার চরগুলোতে চরম মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া বৈরীতা আর অনুকূল পরিবেশ না থাকায় আশানুরুপ মাছ পাচ্ছে না। লোকসানের বোঝা নিয়ে নিরাস হয়েই চরের শুঁটকী পল্লী ছেড়ে বাড়ী ফিরতে শুরু করেছে জেলেরা। এ বছর চরগুলোতে মাছের আকাঁল দেখা দেওয়ায় বিগত বছরগুলোর তুলনায় দুবলার শুঁটকি খাত থেকে ব্যাপক রাজস্ব কমে যাওয়ার আশংকা করছে সুন্দরবন বিভাগ।
মৌসুম শুরু হওয়ার পর পরই ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ আহরন বন্ধো, সরকারি ঘোষণা অনুসারে ৩সপ্তাহের অধিক বঙ্গোপসাগরে সকল ধরণের মাছ ধরা বন্ধ থাকে। সাদা মাছ এবং কাকড়াঁ ধরা বন্ধের ও নির্দেশ দেন মৎস্য অধিদপ্তর ওই সময় মধ্যে । এরপর অবার ২৮ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত রাস মেলা উপলক্ষ্যে মাছ আহরণ ও শুটকি করণসহ সকল কাজ বন্ধ থাকে ফলে মেলা ,বনবিভাগ ও সরকারের নিষেধাজ্ঞায় মৈাসুমের ২মাস চলে যায় বলে জানায় দুবলা শুঁটকী পল্লীর থেকে যাওয়া এসব জেলে। তবে দুবলা শূঁটকী পল্লীর ফরেষ্ট রেঞ্জার কাজী মোকাম্মেল কবির বলেন, টার্গেট ২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের। এদিকে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার রত জেলেরা চলতি মাসে প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহ শুরু হওয়ায় সুন্দরবন উপকূলে বঙ্গোপসাগর থেকে আশানুরুপ মাছ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় জেলেরা। প্রচন্ড শীতের কারণেই মুলত মাছের এই আকাল চলছে আশানুরুপ মাছ না পেয়ে এখনো থেকে যাওয়া জেলেরা শুক্রবার দুবলা চরের মসজিদে মিলাদ ও দোয়া প্রার্থনা করেছে।
সুন্দরবন বিভাগ জানায়, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার শীতের প্রকোপ বেশি থাকায় পানি অত্যন্ত ঠান্ডার যার কারণে গভীর সাগরের মাছ উপরে উঠে আসছে না। তাছাড়া প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় দুবলার বিভিন্ন চরে শুঁটকী পল্লীতে সুন্দরবন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে মাছ শুটকি করণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর ফলে দুবলার শুঁটকি পল্লী থেকে প্রায় দেড় হতে দুই কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়ে থাকে।  এ বছর সুন্দরবনের শুঁটকী পল্লীতে মাছ শুটকি প্রক্রিয়া করণের কাজ প্রায় ১ মাস পর শুরু হয়। মৌসুম শুরু হওয়ার পর পরই সরকারি ঘোষণা অনুসারে ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ আহরন বন্ধো, এ ঘোষনায় ৩সপ্তাহের অধিক বঙ্গোপসাগরে সকল ধরণের মাছ ধরা বন্ধ থাকে। ওই সময় মধ্যে  সাদা মাছ এবং কাকড়াঁ ধরা বন্ধের ও নির্দেশ দেন মৎস্য অধিদপ্তর। এরপর অবার ২৮ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত রাস মেলা উপলক্ষ্যে মাছ আহরণ ও শুটকি করণসহ সকল কাজ বন্ধ থাকে। ফলে মেলা ,বনবিভাগ ও সরকারের নিষেধাজ্ঞায় ১ মাস বিলম্বে শুটকি কার্যক্রম শুরু এবং ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ও রাসমেলা উপলক্ষ্যে আরো প্রায় ১ মাস শুটকি প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। এ সকল কারণে চলতি মৌসুমে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা ও মাছ শুটকি কার্য্যক্রম শুরুতে কম পক্ষে দুই মাস সময় চলে গেছে। দুবলার চরে মাছধরা ও শুটকি করণ কাজ এই দু’মাস দেরিতে শুরু হওয়ায় রাজস্ব আয়ের টার্গেট পুরণ নিয়ে শংঙ্কায় পড়েছে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন বিভাগ ।
ব্যবসায়ী আল আমিন শেখ, রুহুল আমীন বাচ্চু, মহাজন মো. কামাল, রেজাউল, খোকন, টোটন, মাছ পরিবহন ঠিকাদার মো. জালাল আহম্মেদ, বুলবুল আহম্মেদ মুক্ত সহ জেলে-মহাজনরা বলেন, আবহাওয়া পর্যক্ষেণে জানা গেছে শীঘ,্রই শীত কমারও কোন লক্ষণ নেই, তাই চরে অহেতুক বসে লোকসানের বোঝা না বাড়িয়ে অনেকেই সুন্দরবনের শুঁটকী পল্লী ছেড়ে বাড়ী ফিরে গেছে। অমাদের অবশিষ্ট যেসব জেলেরা রয়েছেন তারা মাছের আশায় শুক্রবার দুবলা চরের মসজিদে মিলাদ শেষে আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ