ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে যেতে জিম্বাবুয়ের সামনে সহজ সমীকরণই ছিল। বাংলাদেশকে হারাও। কিন্তু সেটা আর হল কই। ২১৭ রানের জয়ের লক্ষ নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের বোলিং তোপে মাত্র ১২৫ রানেই গুটিয়ে গিয়েছে ক্রেমার বাহিনী। ৩৬.৩ ওভারেই জিম্বাবুয়ের ১০ উইকেট শিকার করে টুর্নামেন্টে টানা তৃতীয় জয় তুল নিল টাইগাররা।
মঙ্গলবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই এনামুল হক বিজয়ের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান ১০৬ রানের দুর্দান্ত একটি জুটি গড়ে বড় স্কোর গড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। তবে সাকিব ৫১ রান আউট হওয়ার পর ধীরে ধীরে বাংলাদেশ বিপর্যয়ে পড়ে। তৃতীয় উইকেটে তামিমের সঙ্গে মুশফিক করেন ৩৫ রানের জুটি।
দলীয় ১৪৭ রানে মুশফিক আউট হওয়ার পরই সাইক্লোনের মতো বিধ্বস্ত হয়ে যায় টাইগাররা। মাত্র ২৩ রানের মধ্যে আরও পাঁচ উইকেটের পতন ঘটে টাইগারদের। এ সময় আউট হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ (২), তামিম, সাব্বির (৬), নাসির (২) ও মাশরাফি (০)। তামিম ফিরে যাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই ফিরেছেন ক্রেমারের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ। সাব্বির ও নাসিরকে তুলে নেন কাইল জার্ভিস।
তামিম সর্বোচ্চ ৭৬ ও সাকিব করেন ৫১ রান। শেষ দিকে মুস্তাফিজ ও সানজামুলের লড়াইয়ে ২১৬ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। সানজামুল ১৯, মুস্তাফিজ ১৮ ও মুশফিক করেন ১৮ রান। জিম্বাবুয়ের গ্রায়েম ক্রেমার ২৬ রানে চারটি এবং কাইল জার্ভিস ৪২ রানে তিনটি উইকেট নেন।
বাংলাদেশের দেয়া টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে ইনিংসের চতুর্থ ওভারের তৃতীয় ওভারেই মাশরাফির আঘাত। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মাসকাদজা মাশরাফির বলে প্রথম স্লিপে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান। ১০ ওভারের দ্বিতীয় বলে অবারো মাশরাফির বলে প্রথম স্লিপে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ক্রেইগ এরভাইন। মাঝখানে ষষ্ঠ ওভারের শেষ দুই বলে মিরে ও টেইলরকে তুলে নেন সাকিব আল হাসান। শুরুর এই ধাক্কা থেকে আর কখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। টানা আঁটসাঁট বোলিং করে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস তুলে দেয় সানজামুল, মোস্তাফিজ। সানজামুল পরপর দুই বলে আউট করেন পিটার মুর ও ম্যালকম ওয়ালারকে। এরপর রুবেল, মোস্তাফিজ ও সাকিব জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ের লেজটা মুড়িয়ে দেন।