রংপুর অফিস॥
রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় নতুন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদসহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে জাতীয়করণ ও পদোন্নতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পুলক রঞ্জন সাহা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। জানা গেছে, উপজেলার দাদন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরির অভিযোগ রয়েছে। তার জাল সনদের বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জেসমিন আক্তার তদন্ত করেন। তদন্তে ভুয়া সনদ প্রমাণিত হওয়ার পরেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তাজতালুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম দাখিল পাসের ভুয়া সনদে চাকরি করছেন। পশ্চিম কাশিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ১৯৯৪ সালে এইচ, এস, সি, পাসের ভুয়া সনদে চাকরি করছেন। কিন্তু তিনি ২০০৮ সালে এইচ, এস, সি পাস করেন। এমপিওভুক্ত হয়েছেন ২০০০ সালে। এবং ভুয়া সনদে চাকরি করা অবস্থায় পদোন্নতির মাধ্যমে তিনি পশ্চিম কাশিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কাশিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। রংদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদশা আলম স্নাতক পাস করেন ২০১০ সালে। কিন্তু তিনি এমপিওভুক্ত হয়েছেন ১৯৯৯ সালের ১ জুলাই। এ ছাড়া অনন্তরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাদুল হক, ছোট হায়াত খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বুলু মিয়া, দোলা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদ সরোয়ার চৌধুরী, কিসামত ঝিনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনুর রহমান, পশ্চিম দেবু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরীফা খাতুন, উত্তর তালুক কান্দি সরকারি পপ্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম ও পূর্ব শিবদেব চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদসহ অনিয়মের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত, পদোন্নতি ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত চলছে। তদন্ত কমিটির প্রধান ও জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাজুল ইসলাম জানান, ১৩ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়ম মেনে তদন্ত করা হচ্ছে।