বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নামে যে মামলাগুলো করা হয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, এই মামলা ভিত্তিহীন ও ভুয়া। এ মামলা করার কারণ হলো বেগম খালেদা জিয়াকে হেয় পতিপন্ন করা এবং জাতীয়তাবাদী দলকে দুর্বল করা। কিন্তু এই মামলায় সরকার পক্ষ কোন প্রমাণ দিতে পারে নাই। ৩২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩১ জন সাক্ষী খালেদা জিয়ার সংশ্লিষ্টতা আছে তা বলতে পারেনি। সুতরাং এটা নো-এভিডেন্স, আমরা আশা করছি যদি সু-বিচার হয়। তাহলে নিঃশ্বর্তভাবে খালাস পাবেন।
শনিবার সকাল ১১টায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জস্থ নিজ বাস ভবন সংলগ্ন মাদ্রাসা মাঠে বাটইয়া ইউনিয়ন বিএনপির তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তৃণমূল সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ওসমান গণি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক এমপি হাসনা জসীম উদ্দিন মওদুদ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম, কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন, মো. আবু বাহার, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ গোলাম হায়াত সাকের ও ছাত্রনেতা মো. মাসুদ প্রমুখ।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতির রায়ে লিখেছেন সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে, সারা শরীর পানির নিচে, শুধু নাকটা পানির উপর। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য, এক ঘণ্টার জন্যও এ পদ শূন্য রাখার বিধান নাই। প্রধান বিচারপতি ছাড়া সুপ্রীম কোর্ট চলছে। বিগত সময়ে এ সরকারের ১৫৪ জন ভোট ছাড়াই এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। পুরো নির্বাচনই বাতিল করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের ছিল। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে, নির্বাচন কমিশন সরকারের বিরুদ্ধে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। এ জন্য আগামী নির্বাচন হবে সহায়ক সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ।