ইবি:
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ভোরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো চলছে আন্দোলন।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধন শেষে আগামী দুইদিন (২৯ ও ৩০ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা করে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে সমিতির নেতৃবৃন্দরা।
এছাড়া হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে এর চেয়ে বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
জানা যায়, রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. অলিউল্ল্যাহর সঞ্চালনায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ঠিক এ সময় উপাচার্যের ওপর এ হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক। কাপুরুষিত ও অতর্কিত হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাই আমরা। একই সঙ্গে ঘৃণাক্ষরে প্রত্যখ্যান করি সেসব দুষ্কৃতিকারী চিহ্নিত ব্যক্তিদের। এ হামলার চক্রান্তকারীদের গ্রেফতার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা বলেন, এ হামলার উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য ইতোমধ্যে আমরা বুঝতে পেরেছি। সুতরাং চক্রান্তকারীদের যে কোনো বাধা-বিপত্তি, হুমকি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দমিয়ে রাখতে পারবে না।
এছাড়াও মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন-যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক ড. নজিবুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. রুহুল কে এম সালেহ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফীন, মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকারিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।