• শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
যুক্তরাষ্টের বিরুদ্ধে এক হচ্ছে ইরান চীন ও রাশিয়া পালিয়ে যাওয়া হাসিনার সব ধরনের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা ট্রাইব্যুনালের ভৈরব থেকে গ্রেফতার আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রধান আসামি চন্দন তালিকায় নাম না থাকায় ফিরে আসেন কর্নেল অলি, যা বললেন জামায়াত আমির অবশেষে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে গেজেট জারির উদ্যোগ আলোচিত ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার ভারতীয় নাগরিক সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক শান্তিরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশে নয় বরং ভারতেই পাঠানো উচিত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শ্রমবাজারে ঘাটতি মেটাতে তিন লাখ বিদেশি শ্রমিকের প্রয়োজন গ্রিসে এবার আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি ভারতীয় রুপির দাম বাংলাদেশেও কমেছে

প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে জালসনদে চাকুরী নেওয়া ১৩ শিক্ষক মরিয়া

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

আব্দুর রহমান রাসেল(রংপুর) প্রতিনিধি॥
রংপুরের পীরগাছায় জাল সনদে ১৩ জন শিক্ষকের চাকুরী করণের সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে অভিযুক্ত শিক্ষকরা। সেই সাথে ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে নিতে সংবাদ কর্মীদের দেখিয়ে নেওয়ার হুমকি সহ বিভিন্ন অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে অভিযুক্তরা। এদিকে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহওনর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল। অপরদিকে,  সভ্যতার সমাজে অসভ্যতা করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যাবস্থা গ্রহনেরও দাবী এখন সময়ের বলে মন্তব্য করেছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, উপজেলার ৯ ইউনিয়নের নতুন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষক জাল সনদসহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে জাতীয়করণ ও পদোন্নতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছে । এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পুলক রঞ্জন সাহা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তের কাজ এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার দাদন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরির অভিযোগ রয়েছে। তার জাল সনদের বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জেসমিন আক্তার তদন্ত করেন। তদন্তে ভুয়া সনদ প্রমাণিত হওয়ার পরেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তাজতালুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম দাখিল পাসের ভুয়া সনদে চাকরি করছেন। পশ্চিম কাশিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ১৯৯৪ সালে এইচ, এস, সি, পাসের ভুয়া সনদে চাকরি করছেন। কিন্তু তিনি ২০০৮ সালে  এইচ, এস, সি পাস করেন। এমপিওভুক্ত হয়েছেন ২০০০ সালে। এবং ভুয়া সনদে চাকরি করা অবস্থায় পদোন্নতির মাধ্যমে তিনি পশ্চিম কাশিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কাশিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। রংদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদশা আলম স্নাতক পাস করেন ২০১০ সালে। কিন্তু তিনি এমপিওভুক্ত হয়েছেন ১৯৯৯ সালের ১ জুলাই। এ ছাড়া অনন্তরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাদুল হক, ছোট হায়াত খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বুলু মিয়া, দোলা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদ সরোয়ার চৌধুরী, কিসামত ঝিনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনুর রহমান, পশ্চিম দেবু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরীফা খাতুন, উত্তর তালুক কান্দি সরকারি পপ্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম ও পূর্ব শিবদেব চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদসহ অনিয়মের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত, পদোন্নতি ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত চলছে। তদন্ত কমিটির প্রধান ও জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাজুল ইসলাম জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ১৩ জন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের তদন্ত চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ