বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার একটি র্দুনীতি মামলার রায় কে সামনে রেখে সারা দেশে চলছে পুলিশের ব্যপক ধরপাকড়ের অভিযান। বাগেরহাটেও অভিযান চালিয়ে নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় বিএনপি, জামায়াতের সাত নেতাকর্মীসহ ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । গত ২৪ ঘন্টায় বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। বিএনপি’র দাবি দলের নেতাকর্মীদের রাজপথ ছাড়া করতে ও তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে পুলিশ বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে এই গ্রেপ্তার করছে। তবে পুলিশের বক্তব্য কাউকে হয়রাণি করতে নয়, নিয়মিত মামলা থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চিতলমারী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম বাবু, বিএনপি কর্মী মোক্তার হোসেন, কচুয়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান সিকদার, একই ইউনিয়নের জামায়াত ইসলামীর সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, রামপাল উপজেলা ছাত্রদল নেতা শোভন ইসলামসহ সাতজন।
অপরদিকে ফকিরহাটে ২চি তাজা হাত বোমা সহ ৬জন, বেতাগা ইউনিয়নের ছাত্রদল সভাপতি আলিমুল রাজু,পিলজং এর জামাত নেতা আব্দুস ছালাম,জাহাঙ্গীর শেখ,ইমারাত মোশাদ্দি,বৈলতলীর আবজাল মোল্লা ও ফকিরহাট সদও ইউনিয়নের পাগলা গ্রামের আয়ুব আলী কে ফকিরহাট থানা গ্রেফতার করে।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাফফর রহমান আলম অভিযোগ করে দুপুরে এই প্রতিনিধি কে বলেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে ঘিরে দলের নেতাকর্মীরা যখন উজ্জীবিত হয়ে রাজপথে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঠিক তখনই পুলিশ আওয়ামী লীগ সরকারকে খুশি করতে বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন ইউনিটের সক্রিয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। দলের নেতাকর্মীদের রাজপথ ছাড়া করতে ও তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে পুলিশ বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে গ্রেপ্তার করছে বলে অভিযোগ ওই বিএনপি নেতার। তিনি পুলিশের এই গণগ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের নি:শর্ত মুক্তির দাবি করেছেন।
বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় দুপুরে এই প্রতিবেদককে বলেন, বিষ্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও নাশকতার অভিযোগে হওয়া নিয়মিত মামলায় বিএনপি ও জামায়াত নেতাসহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত ও অনিয়মিত মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভূক্ত জেলায় মোট ৪৭ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তবে পুলিশ কাউকে হয়রাণি করতে গ্রেপ্তার করছে না বলে দাবি ওই পুলিশ কর্মকর্তার।