বাগেরহাট প্রতিনিধি প্রতিনিধি॥
বাগেরহাটের শরণখোলায় বিশ্ব ব্যাংকর অর্থায়নে বেড়িবাধ নির্মান কাজে ব্যবহৃত চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকবাহী ক্রেন ট্রাক উল্টে তুহিন মীর (৩৮) ও পলাশ হালদার (৩০) নামের দুই শ্রমিক নিহত ও ৮ শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার রায়েন্দা-তাফালবাড়ি সড়কের লাকুড়তলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের শরণখোলা হাসপাতাতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওই দুই শ্রমিক মারা যান। আহত অন্যরা হলেন, পলাশ হাওলদার (৩০), কবির মীর (৩৫), দুলাল হাওলাদার (২৫), মো. রনি (২৪), মো. হেলাল (১৮), বাবুল হাওলাদার (৩৮), খোকন গাজী (৩৫), রিয়াজ জমাদ্দার (৩০) ও সজিব (৩৪)। নিহত তুহিন উপজেলার চালরায়েন্দা গ্রামের আ. মান্নান মীরের এবং পলাশ তাফালবাড়ি গ্রামের পুলিন হালাদারের ছেলে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে শরণখোলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারে টেকসই বাধ নির্মানে নিয়োজিত পিএইচডব্লিউই নামের চায়নার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যবহৃত সিটি-০০৩ নম্বরের ক্রেন ট্রাকটি ১৫জন শ্রমিক নিয়ে রায়েন্দা থেকে তাফালবাড়ি যাচ্ছিল। সকাল ১১টার দিকে বেপরোয়া গতিতে লাকুড়তরা বাজার সংলগ্ন ব্রিজের মোড় ঘোরার সময় ট্রাকটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অল্প বেতনে অদক্ষ্য চালক নিয়োগ দেওয়ায় এভাবে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটচে। এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি চায়না ট্রাকের ধাক্কায় সানজিদা আক্তার (১৩) ও শাম্মি আক্তার (১৫) নামের দুই স্কুলচাত্রী গুরুতর আহত হয়। তারা এখনো খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার দুই শ্রমিক খুলনা নেওয়ার পথে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আহতদের মধ্যে ৪-৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে তিনি জানান।শরণখোলা থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এব্যাপারে তারা কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।