খাবারের তালিকায় চর্বি, লবণ এমনকি চিনি জাতীয় খাবার থাকাকে সাধারণত স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মনে করা হয়। এ কারণে অনেকে খাবারের তালিকা থেকে চর্বি এবং লবণ পরিহার করেন। আজকাল বলা হচ্ছে শুধু লবণ এবং চর্বি নয় বাদ দিতে হবে চিনিকেও। চিনিযুক্ত খাবার যেমন মিষ্টি, বিভিন্ন প্রকারের ফল, কোমল পানীয়, আচার জাতীয় খাবার, বিভিন্ন ধরনের মশলা এমনকি দুগ্ধজাত খাবারও এড়িয়ে চলেন।
খাবার থেকে চিনি বাদ দিতে গিয়ে খাদ্য তালিকা নিয়ে সারাক্ষণ চিন্তায় থাকতে হয়। শুধু চিন্তায় থাকাই নয়, খাবারের তালিকা থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রিয় খাবার বাদ দেওয়ার জন্য থেকে যেতে পারে পুষ্টি ঘাটতিও।
সম্প্রতি পুষ্টি বিজ্ঞানীরা বলছেন, চিনিযুক্ত খাবার খেয়েও সুস্থ থাকা যায়। আর চিনিযুক্ত খাবার খেয়ে সুস্থ থাকতে হলে তাদের পরামর্শ, এর জন্য বেশি বেশি শাক-সবজি খেতে হবে। খাবারের তালিকায় রাখতে হবে বিভিন্ন ধরনের শস্য জাতীয় খাবার, মটরশুটি এবং শিম জাতীয় খাবার। বেশি বেশি ফল খাওয়ারও পরামর্শ দেন তারা।
তাদের বক্তব্য, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ফলমূল উপকারী উপাদান, ফল কখনোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে না। যারা বেশি চিনি জাতীয় খাবার খান প্রয়োজনবোধে তারা মিষ্টি খাওয়ার মাত্রা কমিয়ে দিতে পারেন, পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার কোনো দরকার নেই।
আর খাবারের তালিকা থেকে চিনি জাতীয় খাবার পুরোপুরি বাদ দিলে তা হবে রীতিমতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। খাবারের তালিকা থেকে জোর করে প্রিয় খাবার বাদ দিলে তা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। খাবার নিয়ে ভীতির সঞ্চার হতে পারে। খাবার বাছাই করতে গিয়ে মানসিক চাপ বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়তে পারে উৎকণ্ঠা ও হতাশা।-সিএনএন