• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
উত্তর কোরিয়াকে সৈন্যের বিনিময়ে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে রাশিয়া! তাপমাত্রা নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া নিয়ে যা অফিস রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন ঠেকাতে হবে: নুর ফ্যাসিবাদ কিভাবে হটাতে হয় বাংলাদেশের জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে: পিনাকী ইমরান খানের স্ত্রীর অভিযোগ সৌদি আরবের বিরুদ্ধে, ভিন্ন কথা দলের মোহামেডানকে হারিয়ে শিরোপা জিতলো বসুন্ধরা কিংস ঘুষ প্রদানের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে আদানির বিরুদ্ধে পরোয়ানা, লাভ হবে বাংলাদেশের আমরাও একটি ব্যবসায়ী পার্টনার চাই ম্যাগাজিনকে ড. ইউনূস,  লেবানন থেকে ৮২ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন ঢাবিতে বিএনপির মহাসচিব- জামায়াত আমির ও আইন উপদেষ্টাকে জাতীয় ঘোষণা

ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশের সিরামিক শিল্প

আপডেটঃ : শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৮

বাংলাদেশের সিরামিক শিল্প ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্যান্য বিকাশমান শিল্পের মত সিরামিক শিল্প তার নিজস্ব অবস্থান গড়ে তুলেছে। উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন অসংখ্য সিরামিক শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এই শিল্পে বিনিয়োগ করছেন। দেশের মানুষ দেশীয় সিরামিক শিল্পের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠছে। বিভিন্ন সিরামিক পণ্যের এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। মোটকথা, আমাদের দেশের সিরামিক শিল্প জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সিরামিক শিল্পের সূচনা হয় ১৯৫৮ সালের দিকে। তাজমা সিরামিক নামে একটি সিরামিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান বগুড়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালের দিকে পিপলস সিরামিক নামে আরেকটি সিরামিক কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে দেশে আরো সিরামিক কারখানা গড়ে ওঠে। এসব সিরামিক কারখানা দেশের ৬০ ভাগ সিরামিক পণ্যের চাহিদা মেটাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে সিরামিক শিল্পের পর্যাপ্ত কাঁচামাল রয়েছে। দেশের ময়মনসিংহ, সিলেট, নেত্রকোনাসহ বিভিন্ন স্থানে সিরামিকের জন্য ব্যবহূত সাদামাটি পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। সিরামিক শিল্পের জন্য অন্যান্য কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। বাংলাদেশের সিরামিক শিল্প সম্পর্কে দেশের বেশ কয়েকজন সিরামিক শিল্প মালিক বলেন, আন্তর্জাতিক মান, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং শৈল্পিক ডিজাইনের কারণে সিরামিক শিল্পের বাজার দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই শিল্প এখন অন্যতম সম্ভাবনাময় খাতে পরিণত হয়েছে। দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো সিরামিক শিল্পে পাঁচহাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রপ্তানিতেও এই শিল্পের অবদান ব্যাপক। দেশের অন্যান্য শিল্পের মত সিরামিক শিল্পও প্রাথমিক অবস্থায় ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে।

গত দু’দশকে এই শিল্প দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে। এখন এই শিল্পে বছরে প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশে সুলভ মূল্যে গ্যাস এবং নিম্ন মজুরিতে শ্রমিক পাওয়ার কারণে এই শিল্প দ্রুত বিকাশ লাভ করছে। বর্তমানে এই শিল্পে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে পাঁচ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রতিবছর প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দেন সিরামিক শিল্পের মালিকগণ। বাংলাদেশে মূলত এখন তিন ধরনের সিরামিক পণ্য উত্পন্ন হচ্ছে। সিরামিক দিয়ে তৈরি হচ্ছে টাইলস, বেসিন, কমোড, কিচেনওয়্যার, স্যানিটারিওয়্যার, টেবিলওয়্যার, মাটির জার, কলস, ফুলের টব, মটকা, গার্ডেন পট, ডিনার সেট, টি-সেট, কফি মগ, বাটি থেকে শুরু করে গৃহস্থালির বিভিন্ন জিনিসপত্র। বর্তমানে বাংলাদেশে উত্পাদিত সিরামিক শিল্পের পণ্য পৃথিবীর ৫০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বিশেষ করে ইটালী, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী, কানাডা এবং সুইডেন হচ্ছে অন্যতম আমদানিকারক দেশ।

সমপ্রতি ভারতে বাংলাদেশি সিরামিকের বাজার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান সিরামিক রপ্তানিকারকরা। এছাড়া তুরস্ক, আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলেও বাজার সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের সিরামিক শিল্প যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী এক দশকের মধ্যে দেশের সিরামিক শিল্প অনেক এগিয়ে যাবে এবং দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখবে। দেশের সিরামিক শিল্পের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সরকারের সুনজর অবশ্যই থাকতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ