• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
হিটস্ট্রোকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের মৃত্যু ইরান পাকিস্তান চুক্তি করতে গ্রীন লাইনে, রেড লাইনে যুক্তরাষ্ট্র জীবনানন্দ পুরস্কার পেলেন জাহিদ হায়দার ও মোস্তফা তারিকুল আহসান এস কে সিনহার দুর্নীতি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ২৬ জুন গ্রেপ্তার আন্তর্জাতিক শিশু পর্নোগ্রাফি চক্রের মূলহোতা, জব্দ ২৬ হাজার কনটেন্ট ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার জ্বালানি স্থাপনায় আগুন জিম্বাবুয়ে শক্তিশালী দল ঘোষণা বাংলাদেশ সফরের জন্য মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা দলীয় নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা: কাদের সামাজিক কুসংস্কার যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন 

রোগ প্রতিরোধে প্রতিদিন ডিম খান

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১০ মে, ২০১৮

রতিদিন ডিম না খেলে আমাদের চলেই না। মুরগি ও হাঁসের পুষ্টিগুণে ভরপুর ডিম একদিকে খাদ্য উপাদান হিসেবে যেমন সহজলভ্য, অন্যদিকে ডাক্তার ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা ব্যালেন্স ডায়েট হিসেবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডিম রাখার পরামর্শ দেন।

শারীরিক ও মানসিক গঠনের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধে ডিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন ডিম রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তার ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা।

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইসস্টিটিউট ও হাসপাতালের রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. তালুকদার পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, মুরগীর ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। সুস্থভাবে জীবনযাপনের জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম রাখাটা আবশ্যক।

তিনি বলেন, ডিমে প্রচুর ভিটামিন এ, ডি এবং ই থাকে। সেই সঙ্গে থাকে বি-১২, রিবোফ্লাভিন এবং ফলেট। এছাড়াও আয়োডিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিংক এবং সেলেনিয়াম থাকে ডিমে। যেগুলো মানব শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

যাদের এলডিএল (লো ডেনসিটি লিপ্রোপ্রোটিন) কম থাকে তাদের হৃদপিণ্ডে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন দুটি ডিম খেলে এলডিএল বৃদ্ধি পায়। ফলে হৃদপিণ্ডে সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কমে যায় বলেও জানান ডা. তালুকদার।

সকালের নাস্তার সবচাইতে মজাদার এবং পুষ্টিকর খাবার হলো ডিম। খুব সহজেই ভেজে বা সেদ্ধ করে খাওয়া যায় বলে অনেকেরই প্রতিদিনের নাস্তায় ডিম থাকে।

তবে ডিম খাওয়া নিয়ে অনেকেই দ্বিধাগ্রস্ত থাকেন। বিশেষ করে একটির বেশি দুটি ডিম খাওয়াকে ক্ষতিকর বলে মনে করেন অনেকেই। কিন্তু গবেষণায় জানা গেছে যে দুটি ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তো নয়ই বরং উপকারী।

পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমে যে পরিমাণ কোলেস্টেরল থাকে তা মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। ডিমে উপস্থিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের জন্য উপকারী। তবে দুটো ডিম খেলে খেয়াল রাখতে হবে দিনের অন্যান্য খাবারের দিকেও।

পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ও ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টারের প্রধান নির্বাহী শারমিন আক্তার পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, শিশুর বয়স ছয় মাস অতিবাহিত হলেই তাকে স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ানো যেতে পারে। আর ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় দুটি করে ডিম রাখাটা স্বাভাবিক। এতে তাদের শারীরিক ও মানসিক গঠন মজবুত হয়ে থাকে।

মানব শরীরে ডিমের প্রয়োজনীয়তা ও উপকারীতাগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ডিমে উপস্থিত সেলেনিয়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে দিনে দুটি ডিম খেলে বিভিন্ন ইনফেকশন, ভাইরাস এবং ছোটখাটো অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
ডিমে আছে অ্যামিনো এসিড কোলিন যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও প্রতিদিন দুটি ডিম উপকারী।

ডিম ওজন কমায়

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে সকালের নাস্তায় প্রোটিন বেশি থাকলে দ্রুত ওজন কমে। বিশেষ করে সকালের নাস্তায় দুটি টিম দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকবে এবং সারাদিন অন্যান্য উচ্চ ক্যালরির খাবার খাওয়ার পরিমাণ করবে।

চোখের জন্য ভালো
ডিমে আছে লুটেইন। লুটেইন দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে অন্যান্য পাখির ডিমের তুলনায় মুরগির ডিমে লুটেইনের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই দিনে দুটি মুরগির ডিম খেলে রেটিনা সুরক্ষিত থাকবে।

বিষন্নতা দূর করে
মনটা খারাপ লাগছে? দুটো ডিম খেয়ে নিন। কারণ ডিমে আছে ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি বিষন্নতা দূর করতে সহায়তা করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ