কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি॥
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এলাকাবাসীর বাধা উপেক্ষা করে উপজেলা এলজিইডি’র কর্মকর্তাদের জোগসাজসে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে দক্ষিন মরানদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মেরামতের কাজ সম্পন্ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে দেখাগেছে, মেরামতের কাজে ৩য় শ্রেনীর ইট, বালু বেশি সিমেন্ট কমসহ ১৬ এমএম গরু মার্কা ঢেউটিনকে রং দিয়ে ৪৬ এমএম বানিয়ে ঘরের চাল নির্মানকাজ সম্পন্ন করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এমতবস্থায় তদন্ত সাপেক্ষে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
অভিযোগে জানা গেছে, এলজিইডির কর্মকর্তাদের যোগসাজসে প্রায় ১মাস আগে ১৬ এমএম ঢেউটিন রং করে ৪৬ এম এম বানিয়ে মের্সাস সাগর কনস্ট্রাকশন, নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রাক্কলন বর্হিভুত কাজ শুরু করলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে ঠিকাদারের লোকজন সাময়িকভাবে ঘরের চালের লাগানো টিন খুলে ফেলে। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই আবারো এলজিইডির কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে প্রাক্কলন বহিভুত নি¤œ মানের রংকরা ঢেউটিন দিয়ে পুনরায় স্কুল ঘরের কাজ স্পন্ন করেছে। এতে এলাকার লোকজন বাধা প্রদান করলে তাদের বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখান হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এলজিইডির তত্ত্ববধানে ৮ লাখ ৯শত টাকা বরাদ্দের বিপরীতে দক্ষিণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন টিনসেড ভবন মেরামতের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। সে অনুযায়ী মের্সাস সাগর কনস্ট্রাকশন, নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম ২৭% ছাড়ে কাজটি করার জন্য ৫ লক্ষ ৯০ হাজার ৫৭০ টাকা চুক্তি সম্পাদন করে।
ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা ছাইয়েদুল হক বলেন,আমরা বাধা দেওয়ায় তারা প্রথমে কয়েকদিন কাজ বন্ধ রাখে পরে অফিসের লোকজনকে ম্যানেজ করে আবারও ৪৬ এমএম ঢেউটিনের পরিবর্তে ১৬ এমএম ঢেউটিন লাগিয়ে চলে যায়।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ সরকার ও প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হায়দার মন্ডল জানান, নির্মান কাজে কিছুটা অনিয়ম হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাগর কনস্ট্রাকশনের স্বত্ত্বাধীকারী গোলাম মোস্তফার মোবাইলে একাধিকবার কল দেয়া হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় ।
এ ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ আদায় করে নেয়া হয়েছে। তবে ২৩৭ বর্গ ফুটে ৪৬ এমএম আর বারান্দাসহ কিছু ১৬ এমএম ঢেউটিন লাগানো হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।