ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি। কম্পিউটারে যেমন কোনো কিছু কম্পোজ করে প্রিন্ট দিলে সেটি হুবহু ছাপা হয়ে বেরিয়ে আসে, তেমনি থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে কম্পিউটারে ডিজাইন করা বাড়িটি ‘প্রিন্ট’ কমান্ড দিলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ তৈরী করতে করতে এক পর্যায়ে তৈরী করে ফেলে প্রমাণ সাইজের বাড়ি। এই প্রযুক্তি চীনে এখন বহুল ব্যবহূত হচ্ছে। আরো অনেক দেশেও এই প্রযুক্তির বাড়িতে মানুষ বসবাস করছে। কয়েক তলার আস্ত বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহার করে।
যে বাড়ি তৈরী করতে সময় লাগে মাসের পর মাস তা তৈরী হয়ে যায় কয়েক ঘন্টার মধ্যেই।
এই প্রকল্পে যুক্ত গবেষকরা বলছেন, বর্তমানে প্রকল্পটি কিছুটা ব্যবহুল হলেও ভবিষ্যতে যখন এর ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ সহজলভ্য হবে তখন ব্যয় কমে আসবে দশ ভাগের এক ভাগ।
অর্থাত্ যে ডুপ্লেক্স বাড়িটি তৈরী করতে এখন লাখ ডলার লাগে সেটি ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরী করা যাবে ১০ হাজার ডলার খরচ করেই। আজ কাজ শুরু করে কালই সেই বাড়িতে বসবাস শুরু করা যাবে এমনটি দাবি করেছেন থ্রিডি প্রিন্টিং বিশেষজ্ঞরা।
থ্রিডি প্রিন্টেড বাড়ি হলেও একে দুর্বল বলে ভেবে নেওয়ার কোনোই কারণ নেই। এসব বাড়ি রিখটার স্কেলে আট মাত্রার মতো শক্তিশালী কোনো ভূকম্পনেও টলে পড়বে না। বেইজিংভিত্তিক স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান হুয়াশাং তেংডা এমন বাড়ি নির্মাণের কাজ করেছে।
তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, থ্রিডি প্রিন্ট ছাড়া অন্যান্য মেশিন কিংবা মনুষ্য শ্রমের ব্যবহার এখানে একেবারে নগণ্য। বাড়িতে রং করা এবং অন্দরসজ্জার কাজ ছাড়া সবকিছুই করা হয় থ্রিডি প্রিন্টের বদৌলতে। তা ছাড়া বিশেষ ধরনের রিইনফোর্সড কংক্রিট ব্যবহার করা হয় এই বাড়ি নির্মাণে। -সিএনএন