বৈভর পর্বতের পাদদেশে দুটি গুহা নির্মাণ করেছিলেন ভৈর দেব নামে এক জৈন সন্ন্যাসী। পাহাড়ের গায়েই রয়েছে সেই গুহা, যার দেওয়ালে দরজার মতো একটি কাঠামো রয়েছে। আর তার পাশে এক অজানা ভাষায় লেখা রয়েছে কিছু। স্থানীয়রা মনে করেন, এই লেখনী পড়তে পারলেই সন্ধান পাওয়া যাবে লুকনো সোনা।
‘সোনা ভাণ্ডার’ নামে এমনই দুটি রহস্যময় গুহা রয়েছে বিহারের রাজগীরে। দুটি গুহাই কৃত্রিম। সম্ভবত তৃতীয় বা চতুর্থ শতাব্দীতে খনন করা হয় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
দেশে ব্রিটিশ রাজত্বকালে কানিংহ্যাম নামে এক প্রত্নতত্ত্ববিদ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে জানিয়েছিলেন যে গুহা দুটি আদতে বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে যুক্ত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোনার লোভে ইংরেজ আমলে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েছিল তারা। পাহাড় ফাটিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ইংরেজরা কোন সোনার সন্ধান পায়নি। তবে, অনেকে মনে করেন যে গুহা দুটির পাথর এক এক জায়গায় এতও বেশি মসৃণ ও চকচকে যে সোনা বলে ভুল হতেই পারে। সূত্র: এবেলা।