অ্যাপের মাধ্যমে কল দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজির হয় আন্তর্জাতিক রাইড শেয়ারিং কোম্পানি উবারের গাড়ি। বিশ্বের অনেক দেশের সড়কে রাইডশেয়ার সেবা দিচ্ছে উবার। কিন্তু কোম্পানিটি এবার সড়ক থেকে আকাশে ওঠার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তারা জানিয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে ফ্লাইং ট্যাক্সির মাধ্যমে রাইড শেয়ার সেবা দেয়া হবে। বর্তমানে বেশ কয়েকটি কোম্পানি এমন ফ্লাইং ট্যাক্সি তৈরী করছে যা উড্ডয়ন কিংবা অবতরণের জন্য কোনো রানওয়ে প্রয়োজন হবে না। যেকোন স্থানে এটি খাড়াভাবে উড়তে কিংবা নামতে পারবে। ট্যাক্সিগুলো উড়বে সম্পূর্ণ ইলেক্ট্রিক পাওয়ার ব্যবহার করে। ফলে এগুলোর ইঞ্জিন থেকে চুলপরিমাণ পরিবেশ দূষণও ঘটবে না।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যের ভার্টিকেল এরোস্পেস নামের একটি কোম্পানি দেশটির সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে এই ট্যাক্সির পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছে। ৭৫০ কিলোগ্রাম ওজনের এই ট্যাক্সিটি তৈরী করতে ১২ মাস সময় লেগেছে। উড়তে সক্ষম হলেও এই ট্যাক্সিতে চড়ে কেবল এক দেশের মধ্যেই চলাচল করা যাবে। অন্য দেশের ভৌগলিক সীমায় ঢুকতে পারবে না। ইতিমধ্যে উবার যুক্তরাজ্যে ও যুক্তরাষ্ট্রে স্কাইপোর্ট নির্মানের কাজ শুরু করেছে। এই পোর্ট থেকে ঘন্টায় ১৮০টি ফ্লাইং ট্যাক্সি ওঠানামা করতে পারবে। এখন যেমন স্মার্টফোনে অ্যাপের মাধ্যমে গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেল কল করতে হয়, তখনও একইভাবে অ্যাপে গন্তব্য চিহ্নিত করে দিলে ভেসে উঠবে এই আকাশযান আপনার কাছে পৌছাতে কত সময় লাগবে, ভাড়া কত লাগবে ইত্যাদি। জানা গেছে, এই ট্যাক্সিতে কোনো চালক থাকবে না। আপনি যেখান থেকে কল দিবেন সেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড়ে আসবে এটি। এরপর উপযুক্ত স্থান দেখে অবতরণ করে দরজা খুলে দেবে। আপনি উঠে বসার সাথে সাথে দরজা বন্ধ করে আপনাকে নিয়ে উড়ে গিয়ে গন্তব্যে পৌছে দেবে। যেহেতু এতে কোনো চালক থাকবে না তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাড়া কেটে নেয়া হবে আপনার ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড থেকে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, মানুষের জীবনযাত্রা যতটুকু সহজ করা সম্ভব তা তারা করার চেষ্টা করবে।
ইত্তেফাক/আরকেজি