রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে সিআইডি। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এসময় সিআইডির এসএসপি (ডিএমপি সাউথ) আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আগুন লাগার কোনো কারণ জানতে পারিনি।’
তিনি জানান, ‘যেকোন ধরনের বড় ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে আমরা মাঠে থাকি। নগদ টাকা, টালি খাতাও বাঁচানো গেল না।’ এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে মঙ্গলবার ৮ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এ কমিটিকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। পুনর্বাসন অনিশ্চয়তা, আগুন আতঙ্কে ছিল ব্যবসায়ীরা
সাড়ে ৬ ঘণ্টার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেট। আগুনে পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ পাইকারি মার্কেটের ৫ হাজার দোকান। ঈদের আগে পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন হাজারো ব্যবসায়ী। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ আগুনে ছাই হয়েছে অন্তত ১ হাজার কোটি টাকার সামগ্রী। রক্ষা পায়নি পুলিশ সদর দফতরও। গতকাল সকাল ৬টা ১০ মিনিটে শুরু হওয়া আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় তলব করা হয়েছিল সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর অগ্নিনির্বাপক ইউনিটকে।
লাইফ সেভিং ফোর্সের (ফায়ার সার্ভিস) সদস্যদের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয় সেনা, নৌ, বিমান, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। সবার একাগ্র চেষ্টায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। তবে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এনেক্সকো ভবনের পাঁচ ও ছয় তলা থেকে থেমে থেমে ধোঁয়া এবং আগুনের ফুলকি বের হচ্ছিল। সান্ত্বনা শুধু এটুকুই যে, আগুনে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে একবার ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যায় বঙ্গবাজার। পরে নতুন করে গড়ে তোলা হয় ওই মার্কেট। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই সেখানে আবার আগুন লাগে। পুড়ে যায় মার্কেটের গুলিস্তান ইউনিটের কয়েকটি দোকান। এবারের ভয়াবহ অগ্নিকা- নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। তাদের অনেকেই মনে করেন, এটা নাশকতা।