সপ্তাহ দু’য়েক আগে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)-এর সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছর নিষিদ্ধ করে ফিফা। এরপর জরুরি সভা ডেকে সোহাগকে আজীবন নিষিদ্ধের পাশাপাশি বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য দশ সদস্যের কমিটি গঠন করে বাফুফে। প্রথম সভা করার আগে সেই তদন্ত কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন বাফুফের দুই সহ-সভাপতি। আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক তদন্ত কমিটির চিঠি পাওয়ার পর পরই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। আরেক সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহীও আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। তাদের এই পদত্যাগের বিষয়টি আগামী ২রা মে বাফুফে সাধারণ নির্বাহী সভায় আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক শুরু থেকেই সোহাগের নানা কর্মকাণ্ডে বিরক্ত ছিলেন। ফিফার শোকজ পাওয়ার পরে ফিফার তদন্তের আগ পর্যন্ত সোহাগকে কাজ থেকে বিরত রাখার পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি। তখন সালাউদ্দিন নাকি মানিকের সেই পরামর্শ কানে তোলেননি। বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, এসব কারণেই তদন্ত কমিটিতে থাকতে চাইছেন না মানিক।
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলেও ফুটবল ফেডারেশনের আরেক সূত্রের খবর, সর্বশেষ জরুরি সভায় তিনি ফিফা থেকে শোকজ পাওয়া দুই ফিন্যান্স এক্সিকিউটিভের অব্যাহতি চেয়েছিলেন।
তাদের অব্যাহতি না দিয়ে ফিফার দীর্ঘ তদন্তের পর আবার তদন্ত কমিটি গঠন এই সহ-সভাপতির কাছে ভালো লাগেনি। কমিটি থেকে পদত্যাগ করার কারণ সম্পর্কে মানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি হননি। ব্যক্তিগত কাজে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বাফুফের এই সহ-সভাপতি।
অন্যদিকে আরেক সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহী বলেন, ফিফা দীর্ঘ তদন্ত করে একটা রিপোর্ট দিয়েছে। এখানে নতুন করে তদন্ত করার কিছু নেই। তাই আমি এই কমিটিতে থাকতে চাইছি না।’ কমিটির অন্য সসদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ, ইমরুল হাসান, বাফুফে সদস্য সত্যজিৎ দাশ রুপু, ইলিয়াছ হোসেন, জাকির হোসেন চৌধুরী, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ, হারুনুর রশিদ ও আবদুর রহিম। বাফুফে নির্বাহী কমিটি ২১ জনের। নির্বাহী সদস্য মুন পদত্যাগ করায় সেটি এখন ২০ জনের। বিশ জনের কমিটির দশ জন নিয়ে (একজন শুধু নির্বাহী কমিটির বাইরে) তদন্ত কমিটি গঠন হওয়ায় ফুটবলাঙ্গনে প্রশ্ন ওঠে। ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটি দ্বারা গঠিত তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে নানা মহলে আলোচনা আছে।