মোস্তাফা আল কাজেমি ও কাসেম সোলাইমানি (ডানে)
ইরানের সাবেক শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যায় ইরাকের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা আল কাজেমির ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ইরাকের পাবলিক প্রসিকিউশন দপ্তর এই নির্দেশ জারি করেছে।
ফার্স নিউজ এজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, এ সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করা গত ৪ এপ্রিল। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে রোববার। এ নিয়ে ইরাক ও ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো খবর প্রকাশের পরই তা সামনে আসে।
খবরে বলা হয়েছে, জেনারেল সোলাইমানিকে ড্রোন হামলা চালিয়ে মার্কিন বাহিনী যখন হত্যা করে তখন ইরাকের গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মোস্তাফা আল কাজেমি। পরবর্তীতে দেশটির প্রধানমন্ত্রীও হন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকের প্রসিকিউটর জেনারেল দেশটির ফেডারেল আদালতকে সোলাইমানি হত্যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা আল কাজেমির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তদন্তের পর প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগটি দায়ের করেছেন ইরাকের সন্ত্রাসবিরোধী সংগঠন কাতাইব হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক শাখা হুকুক মুভমেন্টের প্রধান হোসেইন মুনিস।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালিয়ে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী। ওই সময় তিনি ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধান ছিলেন। হামলায় কাসেম সোলাইমানির সঙ্গে ইরাকের সশস্ত্র সংগঠন পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু মাহদি আল মুহান্দিসসহ আরও কয়েক নিহত হন।