শিগগিরই ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবার জন্য বুস্টার ভ্যাকসিন বায়োভ্যালেন্ট ডোজ দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১১ লাখ ডোজ পেয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যে আরও ২০ লাখ ডোজ হাতে পাব। শিগগিরই নতুন এ ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করব।
বুধবার (২ মে) সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস ২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষ্যে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা প্রতিরোধে বায়োভ্যালেন্ট নামের নতুন একটি টিকা ১১ লাখ আনা হয়েছে। আরও ২০ লাখের মতো এই টিকা অল্প সময়ের মধ্যে পেয়ে যাব। এটিকে বলা হয় কম্বাইন্ড ভ্যাকসিন। ওমিক্রন ও ডেল্টা ধরনের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে এ টিকা। এটিকে বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে। ১২ বছরের বেশি বয়সের সবাইকে এ টিকা দেওয়া হবে। কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করব।
মন্ত্রী আরও বলেন, বায়োভ্যালেন্ট টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে আনা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৫ কোটি মানুষ করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজও কাছাকাছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও অন্যদেরকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো না। একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিয়ে আসার জন্য কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও প্রতিবছর একটি কনফারেন্স আয়োজন করা হবে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের যে পদ্ধতিতে কনফারেন্স করা হয় ডাক্তারদের নিয়েও প্রতি বছর এমন একটি কনফারেন্সের আয়োজন করা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সারাদেশে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পরিচালকসহ প্রায় সাত শর মতো কর্মকর্তা রয়েছে। সবাইকে নিয়ে এই কনফারেন্সের আয়োজন করা হবে। সেই কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত দেওয়া হবে। আশা করি তিনি আমাদের এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করবেন।
চলতি মাসে ১১ তারিখে বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটি হেলথ কনফারেন্স নামে একটি ইউনিভার্সেল হেলথ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। স্বাস্থ্য খাতের দেশি-বিদেশি অনেক গুণীজন এ কনফারেন্সে অংশ নেবেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মহাপরিচালক এবং বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।