রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামিরচ ও গরুর মাংসসহ বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। তবে কমেছে মুরগির দাম। চাল, ডাল মাছ ও তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম বেড়ে হয়েছে হালি ৪৬-৪৮ টাকা।
মঙ্গলবার (৯ মে) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা। কাঁচামরিচ ৫০-৬০ টাকা থেকে লাফিয়ে ১৩০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে দাম কমেছে মুরগির। ব্রয়লার মুরগি ২৩০-২৪০ টাকা থেকে কমে ১৮০-১৯০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩৪০ টাকা থেকে কমে ৩১০-৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি আগের মতোই ৫৭০-৫৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের তুলনায় গরুর মাংস ৬৭০-৭০০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৭০-৭২০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৯০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪২-৪৪ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৮ টাকায়।
মুলাটোল বাজারের মুরগি বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমের কারণে পোলট্রি মুরগির আমদানি বেড়েছে। সে তুলনায় চাহিদা কম। এ কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি টমেটো গত সপ্তাহের মতো ২৫-৩০ টাকা, গাজর ৫০-৬০ টাকা, চালকুমড়া ৩০-৩৫ টাকা, ৪০-৪৫ টাকা, চিকন বেগুন ২০-২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫-৬০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, করলা ৪০-৫০ টাক থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা, বরবটি ৪৫-৫০ টাকা থেকে কমে ৩৫-৪০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ১৫-২০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতোই ৪৫০-৫০০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে ৪০-৫০ টাকা, ধনেপাতা ৬০-৭০ টাকা থেকে লাফিয়ে ১৫০-১৬০ টাকা, কাঁচকলা হালি ২৫-৩০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ২৫-৩০ টাকা, শিম ৩৫-৪০ টাকা, ঝিঙে ৪৫-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫-৬০ টাকা, সজনে ডাঁটা ১৩০-১৪০ টাকা থেকে কমে ১২০ টাকা, পটোল ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫-৬০ টাকা, ঢেঁড়শ আগের মতোই ৩৫-৪০ টাকা এবং কাকরোল ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আদা ১৯০-২০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৩০-২৪০ টাকা, দেশি রসুন ১২০-১৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০-১৬০ ও ভারতীয় রসুন ১৬০-১৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১৯০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সব ধরনের শাকের আঁটি ১০-১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। খুচরা বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ২৮-৩০ টাকা এবং শিল ও ঝাউ আলু ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা ফিরোজ মিয়া বলেন, গত কয়েকদিন ধরে এ অঞ্চলে বৃষ্টি নেই। খরায় সবজির আমদানি হ্রাস পেয়েছে। বৃষ্টি হলে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৮৭ টাকা, দুই লিটার ৩৭৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা চাল গত সপ্তাহের মতোই ৪৫-৫০ টাকা, পাইজাম ৫৪-৫৫ টাকা, বিআর২৮ ৫৫-৬০ টাকা, মিনিকেট ৭৫-৭৮ টাকা ও নাজিরশাইল ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে খোলা চিনি গত সপ্তাহের মতোই ১৩৫-১৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫-৬৮ টাকা ও খোলা আটা ৫৮-৬০ টাকা, ছোলাবুট ৯০-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১২০-১৩০ টাকা, মুগডাল ১৪০ টাকা এবং বুটডাল ৯৫-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩০০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কার্প ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতলা ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছি মাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।