বান্দরবনের পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার শুরা সদস্য ও দাওয়াতি শাখার প্রধান আব্দুল্লাহ মায়মুন ওরফে মুমিনসহ চারজনকে সিলেটের বড়শালা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট থানাধীন বড়শলা এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-৯ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গিরা হলেন, ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ অন্যতম শুরা সদস্য ও দাওয়াতী শাখার প্রধান আব্দুল্লাহ মায়মুন, মো. আবু জাফর, মো. আক্তার কাজী, সালাউদ্দিন রাজ্জাক মোল্লা। তাদের মধ্যে মায়মুনের বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায়। এছাড়া গোপালগঞ্জের মকদেসপুর এলাকার সালাউদ্দিন রাজ্জাক মোল্লা, চাঁদপুর মতলব উত্তরের আক্তারকাজী ওরফে সাইদ ও ফরিদপুর চরভদ্রসন এলাকার আবু জাফর ওরফে তাহান।
এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ২ লাখ টাকাসহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি জব্দ করা হয়।
খন্দকার আল মঈন বলেন, আব্দুল্লাহ মায়মুন কৌশলে বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে নতুন জঙ্গি সংগঠনের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণের জন্য টাকা দিতেন। পাশাপাশি তিনি জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করেন।
২০২২ সালের ২৩ আগস্ট কুমিল্লা সদর এলাকা থেকে আট তরুণের নিখোঁজের পর উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে র্যাব ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামক একটি নতুন জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় থাকার তথ্য পায়। বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতারকৃতদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, এই সংগঠনের আমীর আনিসুর রহমান মাহমুদ, দাওয়াতী কার্যক্রমের প্রধান গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল্লাহ মায়মুন, সংগঠনের উপদেষ্টা শামীম মাহফুজ, অর্থ ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান রাকিব।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল্লাহ মায়মুন ২০১৩ সালে স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে আনসার আল ইসলাম জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেন। তিনি এ সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। ২০১৯ সালে বগুড়ার একটি সন্ত্রাস বিরোধী মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হন এবং ২০২০ সালের শেষের দিকে জামিনে মুক্তি পান।