সিলেটে মা-ছেলেকে হত্যার দায়ে বাসার গৃহপরিচারিকা ও তার কথিত প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুরে আলম ভূঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন গৃহপরিচারিকা তানিয়া (২৪) ও তার প্রেমিক মামুন (২৯)। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জোবায়ের বখত জুবের বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলো। এ রায় যেন উচ্চ আদালতেও বহাল রেখে দ্রুত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালে নগরের মীরাবাজার এলাকায় রোকেয়া বেগম ও তার ছেলে রবিউল ইসলামকে হত্যা করেন গৃহপরিচারিকা তানিয়া ও তার কথিত প্রেমিক মামুন। এসময় আহত হন রোকেয়া বেগমের ছোট মেয়ে রাইসা। হত্যা করার আগে রাতে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাদের অচেতন করা হয়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। পরের দিন সকালে দুজনের মরদেহ ও রাইসাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই জাকির হোসেন অজ্ঞাতপরিচয় চারজনের বিরুদ্ধে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মিসবাউর রহমান আলম জানান, রোকেয়া বেগমের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে দ্বন্দ্ব থেকেই গৃহপরিচারিকা তানিয়া তাকে হত্যা করেন।