কালবৈশাখী ঝড়ে পদ্মা সেতু মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। তবে এতে টোল আদায় বা সেতুতে যান চলাচল বিঘ্ন ঘটেনি।
মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লৌহজং অফিসের এজিএম সৌমিক নাসের বলেন, ঝড় ও বজ্রপাতে পদ্মা সেতুর ৩৩ কেভি লাইন ট্রিপ করে। অর্থ্যাৎ বন্ধ হয়ে যায়।
ঝড়-বৃষ্টি বন্ধ হলে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর শ্রীনগর গ্রিড থেকে যুক্ত হওয়া প্রায় আট কিলোমিটার দীর্ঘ বিদ্যুতের গ্রিড লাইন দু’টি টিম পরীক্ষা করে। একটি টিম দোগাছি থেকে ছনবাড়ি পর্যন্ত এবং আরেক টিম দোগাছি থেকে কাজীর পাগলা পর্যন্ত মোটরসাইকেল নিয়ে লাইন চেক করতে বের হয়। লাইন ঠিক পাওয়ার পর ট্রায়াল দেয়া হয়। ট্রায়ালে লাইন টিকে যাওয়ায় চালু করা হয় পদ্মা সেতুর বিদ্যুৎ সরবরাহ। মাওয়া প্রান্তে রাত ৮টায় বন্ধ হওয়া লাইন চালু হয় রাত ১০টায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পদ্মা সেতুর এক কর্মকর্তা জানান, সেতুতে বিদ্যুৎ না থাকলেও জেনারেটর দিয়ে টোলপ্লাজার কার্যক্রম চালু রাখা হয়। টোলপ্লাজায় টিকিট কাটার সময় যানবাহনের চালকদের হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে সেতুতে চলাচলের পরামর্শ দেয়া হয়। মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানিয়েছে, প্রায় সাড়ে ১০ মাস আগে চালু হওয়ায় পদ্মা সেতুতে কোনো বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়নি। তবে প্রাকৃতি বিপর্যয় তথা ঝড়ের কারণে দ্বিতীয়বারের মত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলো। এর আগে ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তবে এখন পুরো সেতুতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।