রংপুরের পীরগাছায় তিন মিনিটের টর্নেডোয় ১৫ গ্রামের ১২ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ধংসস্তূপে পরিণত হয় একটি স্কুল ভবন এবং কমপক্ষে ২০ গ্রামবাসী আহত হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৮টার দিকে উপজেলার কান্দি ইউনিয়নে এ টর্নেডো আঘাত হানে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আকস্মিক ঝড় শুরু হয়। লোকজন কিছু বুঝে উঠার আগেই মাত্র ৩ মিনিটে সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এতে বেশির ভাগ কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়ে এবং উপড়ে পড়ে শত শত গাছ। এছাড়া তিনটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে এবং বিভিন্ন এলাকায় গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়; ঝড়ের পাশাপাশি শিলাবৃষ্টিতে ধান, ভুট্টা, কলা, আম ও লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কান্দি ইউনিয়নের কাবিলাপাড়া, বাঘমারা, মাঝবাড়ি, দোয়ানী, নিজপাড়া, দাদন, দেয়ানী, মনিরামপুর, দিগটারী ও পূর্ব পাঠক শিকড় গ্রামে। ঝড়ে কান্দিরহাট স্কুল এন্ড কলেজের একটি ভবন ধংসস্তূপে পরিণত হয়। কোন কোন গ্রামে ঘরের চাল ভেঙে মাটিতে পড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, তিন মিনিটের এ ঝড়ে তাদের সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। অনেককে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হয়েছে।
কান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম আজাদ জুয়েল বলেন, ঝড়ে এ ইউনিয়নের সহস্রাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানুষের ঘরের চালের ঢেউটিন কাগজের মতো উড়ে গেছে। প্রায় বাড়ির কাঁচা বসতঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে পীরগাছা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।