কুমিল্লা সদর উপজেলায় জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এনামুল হক নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত শনিবার রাতে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি থানার লৌহগং ও কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে।
গ্রেফতাররা হলেন মামলার দুই নম্বর আসামি কাজী আমান উল্লাহ, তিন নম্বর আসামি আবু সাইদ, সাত নম্বর আসামি কাজী নিজাম উদ্দিন ও ১০ নম্বর আসামি জাকির হোসেন।
রোববার দুপুর ১২টায় জেলার পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে চারজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন, পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ বড়ুয়া, কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এসপি জানান, গত শুক্রবার (১৯ মে) জুমার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে সন্তানের সামনে কুপিয়ে ও গলা কেটে এনামুলকে হত্যা করেন আসামিরা।
এনামুল হক সদর উপজেলার আলেখাচর গ্রামের আবদুল ওয়াদুদের ছেলে এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইউপি নির্বাচন ও মসজিদ কমিটি নিয়ে আসামিদের সঙ্গে আগে থেকেই বিরোধ ছিল আওয়ামী লীগ নেতা এনামুলের। সর্বশেষ মামলার এক নম্বর আসামি কাজী জহিরুল ইসলামের ফেনসিডিল সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও ক্লিপটি এনামুলও তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এনামুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন জহিরুল, আমানসহ আসামিরা।
হত্যাকাণ্ডের পর এনামুলের বাবা আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১০ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ছয়জনকে আসামি করা হয়।
চার আসামিকে গ্রেপ্তারে স্বস্তি প্রকাশ করে আলেখারচরের বাসিন্দারা বলেন, এনামুল হক এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম করতে গিয়ে খুন হন। আমরা চাই সব আসামি গ্রেপ্তার হবে এবং তাদের শাস্তি নিশ্চিত করবেন আদালত।