• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন

লাইভে সার্টিফিকেট পোড়ানো তরুণীকে চাকরি দিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩

সংবাদ সংযোগ:

নিয়োগপত্র তুলে দিচ্ছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে নিজের সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ পুড়িয়েছিলেন মুক্তা সুলতানা নামে এক তরুণী। কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার বনগ্রামের এই তরুণী ২০১৯ সালে ইডেন মহিলা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হয়। সেই আলোচিত তরুণীকে এবার চাকরি দিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে ২৭ বছরের অর্জিত সব অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেন এই তরুণী। বিষয়টি নজরে এলে তাকে দফতরে আসতে বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তার সঙ্গে আলোচনার পর প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রজেক্টে ‘কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল কমিউনিকেশন অফিসার’ পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। তার বেতন ৩৫ হাজার টাকা।

চাকরি পেয়ে মুক্তা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সহানুভূতির কারণে আমার চাকরি হলো, আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। একজন প্রতিমন্ত্রী ফেসবুক ভিডিও দেখে নাগরিকের ক্ষোভ-দুঃখ হতাশা দূর করতে তাকে খুঁজে এনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাকরির ব্যবস্থা করবেন; এখনও আমার কাছে সেটা বিস্ময়ের।

এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘দেশের মেধাবী তরুণ-তরুণীরা যেন হতাশাগ্রস্ত না হয় এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে যেতে পারে, সেজন্য আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘যথাযথ শিক্ষা গ্রহণ করলে বাংলাদেশে কোনও শিক্ষিত তরুণ-তরুণী বেকার থাকবে না। তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দিয়ে নিজেকে তৈরি করতে পারলে চাকরির পেছনে ঘুরতে হবে না। বরং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি করবে।’ আইসিটি বিভাগ তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে বলে তিনি জানান।

এসময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার এবং ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রকল্পের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সাইফুল আলম খান উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ