৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তায় পাচারকারীদের কাছ থেকে বোনকে উদ্ধার করেছে ছোট ভাই। একই সঙ্গে পাচারের ঘটনায় জড়িত দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন-মো. আবদুল খালেক ও মো. ফয়েজুল্লাহ সবুজ। মঙ্গলবার দুপুরে ৯৯৯ এর পরিদর্শক মো. আনোয়ার সাত্তার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিচিত এক লোকের মাধ্যমে পার্লারে কাজ করার জন্য দুবাই যাচ্ছিলেন এক তরুনী। তারা ঢাকার খিলক্ষেতের মধ্যপাড়ায় বসবাস করেন। কিন্তু ভিসার কপি দেখে ওই তরুনীর পরিবারের সন্দেহ হওয়ায় তারা ইউএই দূতাবাসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ভিসাটি ভুয়া। কিন্তু ততক্ষণে প্রতারকচক্রের সাথে তার বোন রওনা দিয়ে দিয়েছেন। রাত নয়টার ফ্লাইটে ওই তরুনীর দুবাই যাওয়ার কথা রয়েছে। এমন তথ্য জানিয়ে গত সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে বোনকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান ওউ তরুনীর ভাই।
কলটেকার কনষ্টেবল মিজানুর রহমান কলটি রিসিভ করেছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে মিজান বিমানবন্দর থানা এবং ইমিগ্রেশন পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানায়। ৯৯৯ ডিসপাচার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আসাদুজ্জামান বিমানবন্দর থানা পুলিশ এবং কলারের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে পুলিশী তৎপরতার খোঁজ-খবর নিতে থাকেন।
পরবর্তীতে ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহনাজ বেগম ৯৯৯ কে জানান তারা ওই তরুণীর যাত্রা স্থগিত করে তার ভাই এবং স্বামীকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। বিমানবন্দরের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ওই প্রতারকচক্রের দুই দালালকে আটক করে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করে।
এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলা নম্বর-৩১।
আটককৃত মো. আবদুল খালেক রাজধানীর খিলক্ষেত থানার মধ্যপাড়ার মৃত আবদুল করিম ব্যাপারীর ছেলে আর মো. ফয়েজুল্লাহ সবুজ কুমিল্লা জেলার বড়ুরা থানার সরাপতি গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে।