বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে এখন নানারকম টানাপোড়েনের কথা শোনা যাচ্ছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এটি এখন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। আর এ নিয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছেন ভারতের অমল সরকার। ‘দ্য ওয়াল’ এ তার এই নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে। পাঠকদের জন্য নিবন্ধটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
ধরেই নেওয়া যায়, এটা নিছকই কাকতালীয়, যে হেনরি কিসিঞ্জারের জন্মশতবর্ষ পূর্তির দিন কয়েক আগে আমেরিকা বাংলাদেশের জন্য তাদের নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। আমাদের, অর্থাৎ উপমহাদেশের বাসিন্দাদের সাবেক এই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পর্কে একটা ধারণা আছে। কুখ্যাত এই মার্কিনির সুস্থ জীবন কামনা করে এই সুযোগে একজন ভারতীয় হিসাবে তাঁর অতীতের প্রতি প্রতিবাদ, ধিক্কার নথিভুক্ত করতে চাই।
১৯৭১-এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ যা একদিকে ছিল পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণের মুক্তির সংগ্রাম তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াই, সেই যুদ্ধে তৎকালীন এই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু পূর্ববাংলার মুক্তিকামী মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে গলা টিপে হত্যা করতে চাননি, পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতাকে দিনের পর দিন প্রশ্রয় দিয়েছেন। কূটনীতির যাবতীয় শিষ্টাচার অগ্রাহ্য করে পাকিস্তানের জয় চেয়েছেন। পাকিস্তানকে সাহায্য করতে ভারত মহাসাগরে নৌবহর পাঠিয়েছিলেন। ইনি সেই মার্কিন পররাষ্ট্রসচিব যিনি ভারতীয়দের ‘বড় বেজম্মা’ (সাচ বাস্টার্ডস) এবং ইন্দিরা গান্ধী সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন। (সূত্রঃ নিক্সন-কিসিঞ্জার আলোচনার গোপন টেপ)
এই মানুষটিই বাংলাদেশের মাটিতে পাক বাহিনীর পরাজয়ে মুষড়ে পড়ে সদ্য স্বাধীন দেশটিকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলেছিলেন। কাম্বোডিয়ায় গণহত্যা, চিলিতে নির্বাচিত সরকার উৎখাত- এমন বহু ঘটনায় বারে বারে নাম জড়িয়েছে কিসিঞ্জারের। আর তাঁর দেশ ভিয়েতনাম, ইরাক ও আফগানিস্তানে কী করেছে গোটা বিশ্ব জানে। কাকতালীয় হলেও বাংলাদেশের বিবেকবান, দেশপ্রেমিক নাগরিকের মনকে এই প্রশ্ন পীড়া দেবেই, কিসিঞ্জারের মতো মানুষ এবং তাঁর দেশ যারা গণতন্ত্র, মানবাধিকারকে পিষে মারতে সিদ্ধহস্ত, তারাই কিনা বাংলাদেশের অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নয়া ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। বলা হয়েছে, নির্বাচনকে যারা বানচাল করার চেষ্টা করবে, মার্কিন প্রশাসন তাদের ভিসা দেবে না।
মুক্তিযুদ্ধের সূত্রে আমরা, অর্থাৎ ভারত ও বাংলাদেশ একে-অপরের ওঠাপড়ার সঙ্গী। মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির খবরাখবর এপারেও যথেষ্ট কৌতুহল তৈরি করেছে। দু’টি বিষয় অবাক করছে। ভিসা নীতি ঘিরে বাংলাদেশের বিরোধী শিবিরের কতিপয় নেতা-নেত্রীর অতিশয় উচ্ছ্বাস, যুদ্ধ জয়ের আনন্দ দেখে মনে হয়, তাঁরা মুক্তিযুদ্ধে এবং বিশ্বের অন্যত্র আমেরিকার অপকর্ম নিয়ে আপাতত চোখ-কান বন্ধ রাখার সংকল্প করেছেন। যদিও বিরোধী শিবিরেও কিছু দেশপ্রেমিক, চিন্তাশীল মানুষ আছেন মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে উল্লাস দূরের কথা, আমেরিকার দাদাগিরিতে যাঁরা রীতিমত বিরক্ত।
অদূরে মিয়ানমারের সেনা শাসকদের ব্যাপারে ট্রাম্প কিংবা বাইডেন কোনও প্রশাসনেরই নীতির ফারাক নেই। দ্বিতীয়জন আবার পররাষ্ট্রের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে বেশি বিচলিত। অথচ, কে না জানে এগুলো এখন খাস আমেরিকাতেই বড় প্রশ্নের মুখে। যে দেশে আজও কালো মানুষেরা নিরাপদ নন।
সেই আমেরিকা নির্বাচনের নামগন্ধবিহীন মিয়ানমারে সেনা শাসকেরা গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর প্রতিবাদ-জমায়েতে বিমান থেকে বোমা ফেলা সত্ত্বেও নীরব। তারা দিব্যি সে দেশকে অস্ত্র বেচে চলেছে। রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার নিয়ে বাইডেন প্রশাসন নীরব। মিয়ানমারের মতো গণতন্ত্র, মানবাধিকারকে গলা টিপে মারার এমন নজির আর ক’টা আছে? অথচ, সু কি’র দেশে না গিয়ে মার্কিন কর্তারা কেন হাসিনার দেশকে বেছে নিয়েছেন তাঁদের গণতন্ত্র, মানবাধিকারের ঝাণ্ডা ওড়াতে?
আমেরিকার এই দুর্মতির কারণ আলোচনার আগে কিছু পুরনো প্রসঙ্গের অবতারণা জরুরি। বাংলাদেশ গোটা বিশ্বের কাছে স্বশাসনকামী, মুক্তিকামী, স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রত্যাশা পূরণের এক প্রতীক। দুর্ভাগ্যের হল একই সঙ্গে দেশটির জন্মলগ্ন থেকে বহমান বিপরীতমুখী চোরাস্রোতটি আজও বিলীন হয়নি। যে নির্বাচনের ফলাফল পূর্ববঙ্গের মানুষকে শেষ পর্যন্ত শেখ মুজিবুরের ডাকে লুণ্ঠিত স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য করেছিল, সেই ভোটেও স্বশাসন, স্বাধীনতার বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল প্রায় এক চতুর্থাংশ মানুষ। স্বাধীনতার পর তাদের দেশ ছাড়তে হয়নি। তা যদি হত, তাহলে স্বাধীনতা প্রাপ্তির সাড়ে চার বছরের মাথায় শিশু রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিকে খুন হতে হত না। ১৯৭৫-এর ১৫ অগাস্ট সংঘঠিত সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিবিসি বলেছিল, ‘পাকিস্তানিরাও যে শেখ মুজিবকে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যার ঝুঁকি নেয়নি, নিজের দেশের মানুষ তাঁকে খুন করল।’
বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী বাংলাদেশে দীর্ঘ সেনা শাসনে বাঙালি জাতিসত্তাকে ভুলিয়ে দিতে মৌলবাদের পরিকল্পিত উত্থান স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে আরও শক্তিশালী করেছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে থিতু হতে না দেওয়াই ছিল রাজনৈতিক লক্ষ্য। সত্যি কথা বলতে কী, স্বাধীনতা পরবর্তী বহু বছর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এই বৈপরীত্য বিরাজ করেছে।
ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জনমানসে যে আবেগ বহমান, শেখ মুজিবুরকে সপরিবারে হত্যা, সামরিক শাসকদের স্বৈর শাসন, মৌলবাদী শক্তির উত্থান এবং ধারাবাহিক রাজনৈতিক বৈরিতার কারণেই বছর দশ-পনেরো আগেও দেখেছি, সাধারণ বাংলাদেশিদের অনেকের মধ্যেই দেশ নিয়ে ছিঁটেফোটা গর্ববোধ নেই। এমন দেশে উন্নয়ন ঘিরে দুর্নীতি, অগণতান্ত্রিক পরিমণ্ডল, ভোটে অনিয়ম, দাদাগিরি, সিন্ডিকেটরাজের সংস্কৃতি মাথা তোলা অস্বাভাবিক নয়। নির্বাচন বয়কট, খুনখারাবি, জন-সম্পত্তি বিনষ্ট সেই অগণতান্ত্রিক পরিমণ্ডলকে আরও শক্তিশালী করে।
লক্ষণীয়, বাংলাদেশের এই অন্ধকারাচ্ছন্ন পর্ব নিয়ে আমেরিকা বরাবর চুপ থেকেছে। তারা হঠাৎ গেল গেল রব তুলেছে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচন এগিয়ে আসতে। অথচ, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ছিল একটি রাজনীতিকে নিকেষ করার চেষ্টা। যে রাজনীতি জন্ম দিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা- এই পরিচয় শেখ হাসিনার মাথার উপর যেমন বটবৃক্ষের ছায়া, আবার সেই কারণেই তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিরোধী মৌলবাদী শক্তির চক্ষুশূল। তাঁকে হত্যার চেষ্টাও তাই কম হয়নি।
সেই তাঁরই হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা অনেকটাই ডানা মেলেছে। পদ্মা সেতু সাধারণ বাংলাদেশিদের মধ্যে স্বদেশ প্রীতি, স্বাভিমান জাগিয়ে তুলেছে। আর বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে নিয়ে অনুপ্রবেশ, দারিদ্র, অনাহার, অশিক্ষা, অস্বাস্থ্য কেন্দ্রীক আলোচনার অভিমুখ বদলে গিয়ে, সামনের সারিতে এসেছে তাদের উন্নয়ন।
উত্তাল পদ্মায় নিজের টাকায় এশিয়ার দীর্ঘতম দোতলা সেতু (সড়ক ও রেল) তৈরির এই কাহিনির সঙ্গেও জুড়ে আছেন অসংখ্য হেনরি কিসিঞ্জার। তালিকায় ঋণ দিতে অস্বীকার করা বিশ্বব্যাঙ্কের কর্তারা যেমন আছেন, তেমনই আছেন দেশের বিরোধী দলগুলির নেতা-নেত্রী এবং সুশীল সমাজেরও একাংশ, যাঁরা বারে বারে দাবি করেছিলেন, কিছুতেই সম্ভব হবে না পদ্মার দু’পাড়ের সেতুবন্ধন। তাঁদের চমকে দিয়ে মাস কয়েক আগে সে দেশে একদিনে একশোটি সেতুর উদ্বোধন করেছে বর্তমান সরকার। বাংলাদেশে এখন ‘অ’-য়ে অবকাঠামো, এ বঙ্গে যাকে পরিকাঠামো বলা হয়। যাত্রা শুরু করেছে ঢাকা মেট্রো, চালু হওয়ার মুখে চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর নিচে আন্ডারপাস।
বাইডেনের আমেরিকার বিদেশ নীতি দেশে দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধার। বাংলাদেশের উপর তারা তা ফতোয়া আকারে চাপিয়ে দিচ্ছে দেশটির অতীতের অন্ধকারাচ্ছন্ন পর্বকে পুরোপুরি পাশ কাটিয়ে। গণতন্ত্র কি করোনার বুস্টার ডোজ নাকি পোলিওর টিকা, যে নেওয়া মাত্র অসুখটা উবে যাবে?
যদি তারা সত্যিই দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির ভাল চাইত তাহলে প্রথমেই সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে নিশানা করত না, যারা দেশটিকে মৌলবাদী, জঙ্গি-নাশকতা মুক্ত করার কাজে অনেকটাই সফল। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর এই কৃতিত্বের সুবিধাভোগী ভারতও। আমাদের উত্তর-পূর্বের মানুষ এখন নিশ্চিন্তে ঘুমতে পারেন বাংলাদেশে ভারত বিরোধী নাশকতাবাদীরা নির্মূল হওয়ায়।
আমেরিকার অতীত এবং চলতি বৈদেশিক নীতি, কৌশল দেখে আমার কিন্তু মনে হয় না, দক্ষিণ এশিয়ার এই ছোট্ট দেশটিকে নিয়ে তাদের ভিসা নীতির আসল উদ্দেশ্য ভিন্ন। প্রথমত, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তারা যা করেছে, শেখ মুজিবের দেশেও তারা তেমনই একটি পুতুল সরকার চায়। দেড় দশক আগে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহু আলোচিত ওয়ান-ইলেভেন বা এক-এগারো পর্বে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ‘মাইনাস-টু ফরমুলা’ ফের বাস্তবায়নের চেষ্টা হতে পারে। ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রস্তাব নিয়েই আলোচনার নামে চাপ সৃষ্টির খেলা চালিয়ে যাছেন।
বিএনপির রাজনীতি, হিংসার ইতিহাসকে বিবেচনায় রাখলে শেখ হাসিনার পরিবর্তে খালেদা জিয়ার পার্টিকে বেছে নেওয়া কঠিন। তাই বিএনপি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করে গোঁ ধরে আছে সে জন্য খেসারত দিতে হতে পারে তাদেরও। কারণ, মাইনাস-টু ফরমুলার লক্ষ্যই ছিল বাংলাদেশের দুই প্রধান রাজনীতিক শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রেখে অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে ক্ষমতায় শীর্ষে বসানো। মনে রাখা দরকার আমেরিকার কাছের মানুষ মহম্মদ ইউনুস যে দেড় দশক আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তা কোনও নীতিগত আপত্তির কারণে নয়। তিনি আসলে দীর্ঘ ইনিংস খেলতে আগ্রহী, তাই স্বল্প মেয়াদের দায়িত্ব নিতে চাননি। ফলে আমেরিকার চলতি বাংলাদেশ সমীকরণে তিনি দাবার গুটি হবেন না, জোর দিয়ে বলা কঠিন।
দ্বিতীয়ত, বাইডেন প্রশাসন শেখ মুজিবের চালু করা বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতির মৌলিক পরিবর্তন চায়। অর্থাৎ মাঝামাঝি অবস্থান ছেড়ে আমেরিকার দিকে ঝুঁকে থাকো। দক্ষিণ এশিয়ার এই অংশে চিনের সামরিক ও বাণিজ্যিক প্রভাববৃদ্ধি ভারতের জন্যও উদ্বেগের। চিনকে ঠেকাতে তাই ভারত-মার্কিন বাড়তি বোঝাপড়া অসম্ভব নয়। কিন্তু আমেরিকার দাদাগিরি বাংলাদেশকে আরও বেশি চিনের দিকে ঠেলে দিতে পারে। তাতে নিকট প্রতিবেশি হিসাবে ক্ষতি বেশি ভারতেরই। বাংলাদেশে চিনের বিপুল বিনিয়োগ আছে। তারপরও শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদী এক সুরে বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, বাংলাদেশে স্বাধীনতার বিরোধী শক্তির যত আপত্তি ভারতকে নিয়েই। চীন, আমেরিকাকে নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। মাস কয়েক আগেও সে দেশে গিয়ে দেখলাম, শেখ হাসিনার উপর কিছু মানুষের রাগের একটি কারণ তিনি ভারতকে বাংলাদেশের পথঘাট-নদী-বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন এ দেশের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করার লক্ষ্যে। বাংলাদেশে আমেরিকা নাক গলানো বন্ধ না করলে বিপদ ভারতেরও।