রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় অপু ইসলাম (৩৫) নামে শ্রমিক লীগের এক নেতাকে পিটিয়ে ও ছাদ থেকে ফেলে হত্যার ঘটনায় ২ শিক্ষক, ৩ শিক্ষার্থীসহ ৬ জন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (১০ জুন) অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে শুক্রবার (৯ জুন) রাতে এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে স্থানীয় সাতারকুল স্কুলের ২ শিক্ষক ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৩ শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে শুরুতে এ ঘটনায় ১৩ জনকে আটকের তথ্য জানিয়েছিল পুলিশ।
জানা গেছে, নিহত শ্রমিক লীগ নেতা অপু সাতারকুল এলাকার বাসিন্দা। তিনি ৪১ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনার রাতে মামলা হলে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাড্ডা থানার এসআই আব্দুর শাকুর বলেন, অপু ইসলাম নামে এক যুবককে একটি ভবনের ছাদে নিয়ে মারধর করে লিফটের ফাঁক দিয়ে ফেলে হত্যার অভিযোগ পাওয়া যায়। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে আমরা স্থানীয় একটি হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
অপুর খালাতো ভাই দিপু হাসান বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অপু রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। বৃষ্টির কারণে রাস্তার ডান পাশে পানি জমে ছিল। কে কোন পাশ দিয়ে যাবে সেটা নিয়ে তাদের সঙ্গে বাদানুবাদ হয়। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে তাদের ভাড়া বাসার ৭ তলার ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারধর করে লিফটের ফাঁক দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। পরে অপুকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার ব্যাপারে জানতে পেরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরে এ ঘটনা তার বড় ভাই খোরশেদ আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।