দেশের মানুষের গড় আয়ু আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। ২০২২ সালে প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়ে ৭২ দশমিক ৪ বছর, যা ২০২১ সালে প্রত্যাশিত গড় আয়ু ছিল ৭২ দশমিক ৩ বছর।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) পরিসংখ্যান ভবনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স-২০২২’ এর ফলাফল থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) থেকে এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক আলমগীর হোসেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে নারীদের গড় আয়ু ৭৪ দশমিক ২ বছর ও পুরুষদের গড় আয়ু ৭০ দশমিক ৮ বছর। সেই হিসেবে বাংলাদেশের নারীদের আয়ুষ্কাল এখন পুরুষদের তুলনায় ৩ দশমিক ৪ বছর বেশি।
পরিসংখ্যান ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. শামসুল আলম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস মহাপরিচালক (রু.দা) পরিমল চন্দ্র বসু।
আলমগীর হোসেন বলেন, জনতাত্ত্বিক তথ্য সংগ্রহ করার তিনটি পরিসংখ্যানিক স্বীকৃত পদ্ধতি হলো- শুমারি, নিবন্ধীকরণ ও নমুনা জরিপ। নিবন্ধীকরণ পদ্ধতি উন্নততর ও সুবিধাজনক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে ১৯৮০ সাল থেকে দুটি জনশুমারির মধ্যবর্তী সময়ে নমুনাভিত্তিক নিবন্ধীকরণের মাধ্যমে জনতাত্ত্বিক উপাত্তসমূহের প্রাক্কলন করা হয়ে থাকে। শুরুতে নমুনা এলাকা ছিল মাত্র ১০৩টি। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও জরিপের গুণগত পরিধি বৃত্তির সঙ্গে সঙ্গে বর্তমানে নমুনা এলাকার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১২টি। নমুনা থানার সংখ্যা তিন লাখের ওপরে। সারাদেশে প্রত্যেকটি নমুনা এলাকায় একজন করে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ স্থানীয় নারী রেজিস্ট্রার প্রতি মাসে থানা ভিজিট করে নির্ধারিত তফসিল ব্যবহার করে নিয়মিতভাবে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।
তিনি বলেন, ডিসেম্বর ২০২১ সাল পর্যন্ত এ কার্যক্রমটির তথ্য-উপাত্ত ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হয়। জানুয়ারি ২০২২ সাল থেকে বার্ষিক তফসিলসমূহ কম্পিউটার অ্যাসিসটেড পারসোনাল ইন্টার ভিউয়িং পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হচ্ছে। একই সময় থেকে সিঙ্গেল রেকর্ডিং সিস্টেম অনুসরণ করে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম প্রবর্তন করা হয়েছে।